শুক্রবার তামিলনাড়ুর উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কে পোনমুদি উত্তর ভারতীয়দের 'ফুচকা বিক্রেতা বলে' বিতর্কের মুখে পড়লেন। তিনি বলেন ফুচকা বিক্রেতারা হিন্দি ভাষার লোক। এই বক্তব্যের ফলে শোরগোল পড়ে যায় গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা তাঁর টুইটে পোনমুদিকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, এই ধরনের মন্তব্য করে উনি হিন্দিভাষীদের অপমান করছেন।
তিনি আরও বলেন, "আমরা সমস্ত ভারতীয় ভাষাকে সম্মান করি - তামিল, হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটি, ইত্যাদি - কিন্তু যখন একজন ডিএমকে মন্ত্রী হিন্দি ভাষাকে অপমান করলেন এবং যারা ফুচকা বিক্রি করেন (সাধারণ, দরিদ্র সৎ মানুষ), তাদেরও অপমান করলেন। আর তাদের (ডিএমকে) সমর্থন করে কংগ্রেস? দরিদ্র এবং হিন্দি ভাষা ভাষাভাষীদের এই অপমান সমর্থন করে কংগ্রেস?"
কোয়েম্বাটোরে রাজ্য-চালিত ভারতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ তম সমাবর্তনে ভাষণ দেওয়ার সময়, দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাজগাম (ডিএমকে) মন্ত্রী বলেন এ রাজ্যের সরকার ইংরেজি এবং তামিলের উপর জোর দিয়ে নির্দিষ্ট ভাষা নীতি অনুসরণ করতে বদ্ধপরিকর। এ প্রসঙ্গে কে পোনমুদি বলেন,"ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা হলেও তামিল একটি স্থানীয় ভাষা।"
এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমকে নেতা আরও বলেন, "সিএন আন্নাদুরাই (ডিএমকে প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) ইংরেজি এবং তামিলের পক্ষে জোরালো সওয়াল করতেন। তিনি একটি গল্প বলতেন... বিড়াল এবং ইঁদুরের জন্য দুটি পৃথক প্রবেশদ্বার তৈরি করার গল্প বলতেন। তিনি বলতেন, বিড়ালের জন্য তৈরি প্রবেশদ্বার দিয়ে ইঁদুরও প্রবেশ করতে পারে। আমরা একটি আন্তর্জাতিক ভাষা শিখছি, ইংরেজি। অন্য ভাষার প্রয়োজন কি?"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন - 'ইংরেজি নয়, হিন্দিতেই বিভিন্ন রাজ্যের মানুষের কথা বলা উচিত।' তিনি আরও বলেন, 'সরকারি ভাষাকে দেশের ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত করতে হবে। আর সেই সময় এসেছে।' তাঁর এই মন্তব্যের পর বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভ, অসন্তোষ তৈরী হয়। হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। বিশেষভাবে সরব হন দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক নেতারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন