শুধুমাত্র ২০২৩ সালে মহারাষ্ট্রের মারাঠাওড়াতে আত্মহত্যা করেছেন ১০৮৮ জন কৃষক। মহারাষ্ট্রের ডিভিশনাল কমিশনারের রিপোর্টেই উল্লেখ আছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দেশে যখন রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান নিয়ে সকলে ব্যস্ত সেই সময় মহারাষ্ট্রের কৃষক আত্মহত্যার রিপোর্টে প্রকাশ্যে এলো। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে মারাঠাওড়াতে অতিরিক্ত ৬৫ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে বলেই সরকারি রিপোর্টে জানা যাচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০৮৮ জন কৃষকের মধ্যে সব থেকে বেশি আত্মহত্যা করেছেন বীড়ে। সেখানে আত্মহত্যার সংখ্যা ২৬৯। ছত্রপতি সম্ভাজীনগরে আত্মহত্যার সংখ্যা ১৮২ জন। ১৭৫ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে নান্দেদে। ধরাশিবে ১৭১ জন কৃষক এবং পারভনীতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ১০৩টি।
কৃষক নেতাদের অভিযোগ, দেশে লাগাতার কৃষক আত্মহত্যা ঘটনা বৃদ্ধির জন্য দায়ী মোদী সরকার। তাদের একাধিক কৃষক বিরোধী নীতির জন্য এইধরণের ঘটনা ঘটছে। চাষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি ক্ষেত্রেও কর্পোরেট ব্যবস্থা চালু করা সহ একাধিক নীতির কারণে বাঁচার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না গরিব কৃষকরা। তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে। যার বিরুদ্ধে আগামী ২৬ জানুয়ারি গোটা দেশের একাধিক এলাকায় পদযাত্রার ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালেও মারাঠাওয়াড়াতে কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছিল। ওই বছর সরকারি হিসেব অনুযায়ী আত্মহত্যা করেছিলেন ১০২৩ জন কৃষক। তবে সমস্ত কৃষক পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। যাঁদের যোগ্য বলে মনে হইয়েছে তাঁদেরকেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সরকার। যেমন ২০২৩ সালের ১০৮৮ জন কৃষক পরিবারের মধ্যে সরকারি হিসেবে ৭৭৭ জন কৃষকের (কৃষির ক্ষেত্রে আত্মহত্যা) পরিবার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। আত্মহত্যার জন্য এককালীন ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় কৃষক পরিবারগুলিকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন