বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বেসরকারিকরণ হলে যেমন একদিকে কর্মী নিয়োগে সংরক্ষণ কমে যাবে, অপরদিকে কর্মী সংকোচনও হবে, এমনটা আশঙ্কা দেশবাসীর। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এমনকী প্রবল আপত্তি তুলেছেন কর্মীরা। এলআইসি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়ে কর্মী সংগঠন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কর্মী ইউনিয়নের আশঙ্কা একবার এলআইসির শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাপক হারে কর্মীছাঁটাই ও আউটসোর্সিং হবে। একইভাবে দেশের গ্রামীণ পরিকাঠামো নির্মাণও ব্যাহত হবে। এলআইসির তহবিল থেকেই সরকার এর আগে বহুবার গ্রামীণ পরিকাঠামোয় অর্থ বরাদ্দ করেছে।
সংস্থার কর্মীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন অল ইন্ডিয়া এলআইসি এমপ্লয়িজ ফেডারেশন জানিয়েছে, সড়ক, রেল, বিদ্যুৎ পরিকাঠামোতে গত ৬০ বছর ধরে এই সংস্থার তহবিল থেকেই প্রতিটি সরকার অর্থবরাদ্দ করেছে। সুতরাং, এলআইসি কোটি কোটি ভারতবাসীকে বিমার নিরাপত্তা এবং অর্থসঞ্চয়ের সুরক্ষিত ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দেশের অগ্রগতির অর্থবরাদ্দও নিশ্চিত করেছে। মোদি সরকার প্রাথমিকভাবে এলআইসির ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতিমধ্যেই ১০টি বেসরকারি ব্যাংকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকা আয় করতে চায় সরকার। বেসরকারিকরণ হতে পারে, সেই তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলি বিক্রির মাধ্যমে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সাড়ে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বিলগ্নিকরণের টার্গেট নিয়েছে।
এলআইসির কর্মী সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি কর্মী ফেডারেশন আগামীদিনে বড়সড় আন্দোলনে নামার প্রস্তুতিও নিয়েছে। তাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্মী ফেডারেশন। বিরোধীরাও রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করতে চাইছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন