মাত্র ৩ সপ্তাহেই প্রায় ১৫ শতাংশ দাম পড়লো এলআইসি-র শেয়ারের। গত ১৭ মে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তির পর সোমবার ৬ জুন এলআইসি-র শেয়ারের দাম পড়ে একসময় পৌঁছে যায় ৭৮০ টাকারও নীচে। বিকেল সাড়ে তিনটেতে বাজারের কেনাবেচা বন্ধের সময় এলআইসি-র শেয়ার প্রায় ২২.৯০ পড়ে বন্ধ হয় ৭৭৭.৩৫ টাকায়। গত ১৭ মে এলআইসি শেয়ারের দাম ছিলো ৯২০ টাকা।
গত শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় এলআইসি-র শেয়ারের দাম ছিলো ৮০০.২৫। সোমবার সকালে শেয়ার বাজার খোলার সময় একই দামে খোলে। এলআইসি-র শেয়ারে এদিনের ডে হাই ৮০১.৭৫ এবং ডে লো ৭৭৫.১০। এদিন মোট কেনাবেচা হয়েছে ৩০,২১,৭২০ শেয়ার। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত এলআইসি-র শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ৯৪৯ টাকা এবং এই শেয়ার দামের সর্বনিম্ন স্তর ছুঁয়েছে এদিনই। বাজার বন্ধ হবার সময় এলআইসি-র শেয়ারের দাম ২২.৯০ পড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭৭.৩৫-এ।
এই নিয়ে গত পাঁচ দিন এলআইসি-র শেয়ারের দাম পড়লো। এদিনের পতনের পর ইস্যু মূল্যের অনুপাতে এলআইসি-র দাম পড়েছে ১৭ শতাংশ। যার মধ্যে এদিনই পড়েছে ২ শতাংশ। এলআইসি-র শেয়ার খুচরো বিনিয়োগকারীরা পেয়েছিলেন ৯০৫ টাকা দরে এবং পলিসি হোল্ডাররা পেয়েছিলেন ৮৮৯ টাকা দরে। এদিনের পতনের পর এলআইসি-র শেয়ারের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ৫ ট্রিলিয়নের নীচে নেমে গেছে।
এলআইসি-র শেয়ারের দাম পড়ার পাশাপাশি এদিন সেনসেক্স পড়েছে ১০৪.৮২ পয়েন্ট। গত শুক্রবার সেনসেক্স বন্ধ হয়েছিলো ৫৫,৭৬৯.২৩ পয়েন্টে। এদিন সেনসেক্স খোলে ৫৫,৬১০.৬৪ পয়েন্টে। আজকের ডে হাই ৫৫,৮৩২.২৮ এবং ডে লো ৫৫,২৯৫.৭৪ পয়েন্ট। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টেয় সেনসেক্স ৯৩.৯১ পয়েন্টে নেমে সেনসেক্স দাঁড়িয়ে ছিলো ৫৫,৬৭৫.৩২ পয়েন্টে। সেনসেক্সের পাশাপাশি এদিন নিফটি পড়েছে ১৪.৭৫ পয়েন্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন