করোনা মহামারী আবহে মানুষ এতটাই অসহায় হয়ে পড়েছে যে শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করে জীবনধারণের পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু এরপরে কি? কেউ জানেন না। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে দেশের অধিকাংশ মানুষই।বাড়িতে থাকা সোনার গয়না বিক্রি করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর কাজও চলছে।
গ্রামীণ ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আরও ভয়াবহতা নিয়ে এসেছে। গ্রামের বাসিন্দাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতিও বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। নিজেদের গচ্ছিত শেষ সম্বল সোনা এখন বন্ধক রেখে বা বিক্রি করে নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করছেন গ্রামীন মানুষরা। যদিও মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সোনা বিক্রির উপরও ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছে।
এর কারণ বলতে গিয়ে লন্ডনের মেটাল ফোকাস লিমিটেডের সোনা ব্যবসায়ী চিরাগ শেঠ জানিয়েছেন, গত বছরের আর্থিক সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নিচ্ছেন অনেকেই। ফলে সোনা বিক্রির উপরও প্রভাব পড়ছে। সোনা বিক্রি কমেছে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ। তবে আগস্ট- সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি বাড়বে বলে আমরা আশা করেছিলাম। কিন্তু সেই সময়ে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা আছে। আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে ফের লকডাউন ও চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
দেশের সবথেকে বড় সোনার বদলে ঋণ দেওয়া সংস্থা মানাপ্পুরম ফিনান্স লিমিটেড ইতিমধ্যেই ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার সোনা নিলাম করেছে মার্চের পর থেকে গত তিন মাসে। এই সময়ের নিলামের বাজারও অনেকটাই পড়ে গিয়েছে। মূলত সোনা বন্ধক রেখে টাকা নিয়ে সেই টাকা ফেরত দিতে না পারায় সোনা নিলামের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন