দেশে ঘটে যাওয়া একের পর এক রেল দুর্ঘটনা নিয়ে এবার সরব হলেও সাংসদরা। বুধবার সংসদের চলতি অধিবেশনে একাধিক বিরোধী সাংসদ লাগাতার রেল দুর্ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দেশের রেল পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
টঙ্ক-সোয়াই মাধোপুরের কংগ্রেস সাংসদ হরিশ মীনা এদিন সংসদে এক বিতর্ক চলাকালীন বলেন যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং রেল সুরক্ষার বিষয়ে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সংসদে মীনা বলেন, একের পর এক রেল দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। এবারের বাজেট পুরোপুরি রাজনৈতিক বাজেট এবং এই বাজেটে আমার কেন্দ্রের জন্য কোনও রেল পরিষেবার কথা ঘোষণা করা হয়নি বা কোনও ত্রাণের ঘোষণা করা হয়নি। এর আগে দুটি ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেগুলো আর চালু করা হয়নি। আমি দাবি করছি এই ট্রেন দুটিকে অবিলম্বে চালানোর বন্দোবস্ত করা হোক।
দক্ষিণ গোয়ার কংগ্রেস সাংসদ ক্যাপ্টেন ভিরিয়াটো ফারনান্ডেজ বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনও রেল পরিষেবার ওপর নির্ভর করেন অথচ তাদের কথা না ভেবেই রেলের ভাড়া ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হচ্ছে। ফলে তা ক্রমশই গরীব মানুষের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও নিরাপত্তা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে এবং গত দশ বছরে বহু রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সমাজবাদী পার্টির এটার সাংসদ দেভেশ শাক্য বলেন, এই অঞ্চলে বিগত সময়ে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। বালিয়ার সমাজবাদী পার্টির সাংসদ বলেন, সনাতন পান্ডে বলেন, একদিকে সরকার দ্রুত গতির বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর কথা বলছে আর অন্যদিকে আমার কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে ট্রেন চলছে গড়ে ৩০ কিলোমিটার গতিবেগে।
ডিএমকে সাংসদ টি এম সেলভাগণপতি বলেন, এবারের বাজেটে তামিলনাড়ুকে বঞ্চিত করা হয়েছে। রাজ্যের বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে একাধিক রেলওয়ে পরিকল্পনা ঝুলে থাকলেও এবারের বাজেটে সেইসব পরিকল্পনার জন্য কোনও বরাদ্দ করা হয়নি।
যদিও বিজেপি এবং জেডিইউ, এলজেপি সাংসদরা এই সময়কে ভারতীয় রেলের স্বর্ণযুগ বলে অভিহিত করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন