মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের প্রতিবাদের জেরে ফের স্থগিত হয়ে গেল লোকসভার অধিবেশন। মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষের অধিবেশন শুরু হতেই মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদে উপস্থিত হয়ে বিবৃতি দেওয়ার দাবিতে বিরোধী মহাজোট I-N-D-I-A-র সদস্যরা ফের ব্যাপক প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। কক্ষের মধ্যেই হাতে পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দেন তাঁরা। এই তীব্র বিক্ষোভ-প্রতিবাদের জেরে এদিন বেলা ২টো পর্যন্ত মুলতবি করে দেওয়া হয় সভার অধিবেশন।
মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরুতে লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লা একটি প্রশ্নোত্তর পর্বের সূচনা করেন। কিন্তু সেই প্রশ্নোত্তর পর্বেই বিরোধীরা মণিপুর ইস্যুতে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করলে ১৫ মিনিটের মাথায় সভার অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেলা ২টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করে দেন স্পীকার বিড়লা। এদিন বিরোধী মহাজোটের সদস্য তথা জেডিইউ সাংসদ সুনীল কুমার পিন্টু সংসদের দুই কক্ষেই প্রতিবাদ দেখান। পাশাপাশি, লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে একটি প্রশ্নও করেন।
তবে দুপুর ২টো নাগাদ সভার অধিবেশন পুনরায় শুরু হলে বিরোধীদের প্রতিবাদ আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণকারী ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি (সংশোধনী) বিল, ২০২৩’ পেশ করতে পারেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। বিতর্কিত এই বিলের নয়া সংশোধন পাশ হলে তা দিল্লির সরকারি আমলাদের বদলি ও পোস্টিং নিয়ে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে আরও বিশেষ কিছু ক্ষমতা দেবে। আর সেই কারণেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল প্রথম থেকেই এই বিলের বিরোধিতা করে আসছে। কেন্দ্রের শাসকদলের সঙ্গে এই নতুন সংশোধনী বিল নিয়ে দিল্লির আপ সরকার একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছে। এবারে সেই বিলের বিরোধীতার জন্য আপের পাশে থাকবে বিরোধী মহাজোটও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন