নয়া মোড় নিল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ওঠা ব্যবসায়ী বন্ধুর কাছ থেকে ‘টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার’ অভিযোগ মামলা। বুধবার মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকপাল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে এই দাবি করেছেন মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা এই সাংসদ। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদও পাল্টা জানিয়েছেন, “সিবিআই আগে আদানি গোষ্ঠীর ১৩ হাজার কোটি টাকার কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করুক।”
গত অক্টোবরে দুবাইয়ের শিল্পপতি বন্ধু দর্শন হিরান্দানির থেকে টাকা নিয়ে ও বহুমূল্য উপহার নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিব্রত করার উদ্দেশ্য নিয়েই ‘মোদী ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত শিল্পপতি গৌতম আদানি ও আদানি গোষ্ঠীকে নিশানা করেছেন মহুয়া বলে অভিযোগ।
এই সমস্ত অভিযোগ উল্লেখ করে লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার দাবি করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের কাছে চিঠি দিয়ে এই মামলায় তদন্তের দাবি জানান মহুয়ার প্রাক্তন ‘বন্ধু’ জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। স্পীকারের নির্দেশে লোকসভার এথিক্স কমিটিতে মহুয়ার নামে শুনানি চলছে। যদিও কমিটির তরফে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি নিম্নকক্ষের স্পীকারকে। তবে বৃহস্পতিবার ফের এই মামলা নিয়ে বৈঠকে বসবে এথিক্স কমিটি।
তার আগে বুধবারই নিশিকান্ত দুবে এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছেন, লোকপাল অর্থাৎ দুর্নীতি-বিরোধী প্যানেলের তরফে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে নিশিকান্তের এই দাবির কথা শুনে মহুয়া এদিন বিকেলবেলা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আদানির ১৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আগে মামলা দায়ের করুক সিবিআই। চিন ও আরব আমিরশাহীর নাগরিক-সহ বিদেশি বিনিয়োগকারী আদানির সংস্থা কীভাবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ছাড়পত্র পেয়ে জাতীয় সুরক্ষা ব্যাহত করে দেশের সব বন্দর কিনে নিচ্ছে, সেটা নিয়ে আগে তদন্ত করুক সিবিআই।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন