পুরীতে জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রা উৎসবের সময় আতশবাজিতে আগুন লেগে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। প্রাথমিকভাবে একজনের মৃত্যুর খবর জানা গেলেও বর্তমানে জানা যাচ্ছে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। আহত ২৫ জনেরও বেশি। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁদের কটকের এক সরকারি হাসপাতালে স্থানাস্তরিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় পুরীতে জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রা ছিল। রীতি মেনে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা-র ‘চাপা খেলা’র জন্য আতসবাজি মজুত করা হয়েছিল। উৎসব উৎযাপনের জন্য একটি পুকুরের কাছে বিপুল পরিমাণ আতশবাজি রাখা হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাতে আগুন লেগেই বিপত্তি বাধে।
এই বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ২৫ জনেরও বেশি মানুষ। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় এক শিশু সহ তিনজনের। আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের কটকের একটি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই ঘটনায় পুরীর এসপি পিনাক মিশ্র বলেছেন, “কয়েক জন যুবক বাজি ফাটাচ্ছিলেন। তখন আগুনের ফুলকি আতশবাজির স্তূপে এসে পড়ে এবং বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েক জন শিশু-সহ অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন।“
আতশবাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়ক। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, “পুরীর নরেন্দ্র পুকুরের কাছে দুর্ঘটনার খবর শুনে ব্যথিত। মুখ্যসচিব এবং জেলা প্রশাসনকে আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার খরচ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দেওয়া হবে। সবার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
পুরীর ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, “পুরীতে ভগবান জগন্নাথের চন্দন যাত্রার সময় বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা জেনে হতভম্ব। বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। তাঁদের দ্রুত এবং সুস্থতার জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন। ওড়িশা সরকারের পাশে রয়েছি।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন