বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ১ নম্বর স্থান থেকে এখন ১৬ নম্বরে নেমেছেন। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট পেশের পর থেকেই ধাপে ধাপে তিনি প্রথম স্থান হারিয়েছেন। এফপিও বাতিলের পর আরও ক্ষতির মুখে পড়েছে আদানি গ্রুপ। প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে তাদের।
গত এক সপ্তাহে শেয়ার মার্কেটে আদানি গ্রুপের শেয়ারে ব্যাপক পতন হয়েছে। যার ফলে ধনীদের তালিকায় প্রথম দশ থেকে ছিটকে যেতে হয় আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানিকে। ক্ষতির মুখে তিনি সিদ্ধান্ত নেন সকল কুড়ি হাজার কোটি টাকা এফপিও বাতিল করা হবে এবং সমস্ত টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বিনিয়োগকারীদের। এমনিতেই আদানি গোষ্ঠীর ক্ষতি হয়েছে ৮ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকা।
এই ঘোষণার পরেই আরও শেয়ারে পতন হয় আদানি গ্রুপের। পরিসংখ্যান বলছে, নতুন করে 'আদানি এন্টারপ্রাইসেস'-র শেয়ার দর পড়েছে কমবেশি ১০ শতাংশের আশেপাশে। গত ৯ দিনে আদানি এন্টারপ্রাইসেসের শেয়ার পতন হয়েছিল ৩৮ শতাংশ।
তাছাড়া আদানি গ্রুপের অন্যান্য সংস্থা 'আদানি গ্রিন এনার্জি', 'আদানি ট্রান্সমিশন', 'আদানি পোর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল ইকোনমিক জোন'-র শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ কমেছিল। 'আদানি উইলমার' ও 'আদানি পাওয়ার'-র শেষ ৯ দিনে শেয়ারের দামে পতন হয়েছিল ২৩ শতাংশ। শুক্রবার বাজারের শুরুতেই 'আদানি এন্টারপ্রাইসেস'-র শেয়ার দর ১০ শতাংশ পড়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ দাবি করে, কারচুপির মাধ্যমে নিজেদের শেয়ারের দর বাড়াচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। আর্থিক প্রতারণা করছে বিনিয়োগকারীদের সাথে। এরপর থেকে লাগাতার ধস নেমেছে আদানির শেয়ারে। যেদিন এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয় সেদিনই ২০ হাজার কোটি টাকার FPO বাজারে আনে আদানি গোষ্ঠী, যার সাবস্ক্রিপশন শেষ হয় মঙ্গলবার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন