দিল্লি মহিলা কমিশনের ২২৩ জন কর্মীকে ছাঁটাই করলেন দিল্লি লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই ওই কর্মীদের বেআইনিভাবে নিয়োর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালকে গোটা ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে আম আদমি পার্টি স্বাতী মালিওয়ালকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত করে। আর তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে নিয়োগের অভিযোগ তুলেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।
লেফটেন্যান্ট গভর্নরের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় দিল্লি কমিশন ফর উইমেন অ্যাক্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, প্যানেলে ৪০ জন কর্মচারীর অনুমোদিত জায়গা রয়েছে এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমতি ছাড়াই সেখানে ২২৩টি নতুন পদ তৈরি করে নিয়োগ করা হয়েছিল। চুক্তিতে কর্মী নিয়োগের অধিকার নেই কমিশনের।
আরও বলা হয়েছে, কমিশনকে জানানো হয়েছিল তারা অর্থ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া ‘সরকারের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক দায়বদ্ধতা জড়িত’ এমন কোনও পদক্ষেপ নেবে না। এই নিয়োগগুলি নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী করা হয়নি। নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে মহিলা কমিশন।
আপ সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় মনোনীত হওয়ার আগে স্বাতী মালিওয়াল নয় বছর ধরে দিল্লি কমিশন ফর উইমেনের চেয়ারপার্সন ছিলেন। তবে বর্তমানে ওই পদটি শূন্য রয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে স্বাতী মালিওয়ালকে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নেওয়ার জন্য বারবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
লেফটেন্যান্ট গভর্নরের এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বাতী মালিওয়াল। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, "লেফটেন্যান্ট গভর্নর দিল্লি মহিলা কমিশনের সকল কন্ট্রাক্ট স্টাফদের অপসারণের জন্য তুঘলকি আদেশ জারি করেছেন। আজ, মহিলা কমিশনের মোট কর্মী রয়েছে ৯০ জন যার মধ্যে মাত্র ৮ জন সরকারি, বাকিরা ৩ মাসের চুক্তিতে রয়েছে। সব কন্ট্রাক্ট স্টাফদের সরিয়ে দিলে মহিলা কমিশনে তালা লাগানো হবে।“
এরপরেই আপ সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, “কেন এমন করছে? রক্ত-ঘাম দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এটাকে কর্মী ও সুরক্ষা না দিয়ে আপনি এর শিকড় সহ একে উপড়ে নিচ্ছেন?” স্বাতী মালিওয়াল জানান, “যতদিন বেঁচে আছি মহিলা কমিশন বন্ধ হতে দেব না। আমি জেলে যেতে রাজি, কিন্তু নারী নির্যাতন করবেন না।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন