করোনার কারণে ফুসফুসে যে সংক্রমণ হয়, গোমূত্রের সাহায্যে তা নিরাময় করা সম্ভব। দীর্ঘ ৭০ দিন পরে নিজের সংসদীয় এলাকায় ফিরেই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রতিদিন গোমূত্র পান করেন তিনি, তাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না তিনি।
গোটা দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্তের মাঝেই দলীয় কর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করছিলেন বিজেপি সাংসদ। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "যদি আমরা প্রতিদিন দেশীগোরুর মূত্র পান করি, তাহলে করোনা ভাইরাসের কারণে ফুসফুসে হওয়া সংক্রমণ নিরাময় হয়। আমি ভীষণ কষ্টে আছি কিন্তু আমি প্রতিদিন গোমূত্র পান করি। তাই এখন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাকে কোনো ওষুধ খেতে হয় না এবং আমি করোনা আক্রান্ত না।"
গেরুয়া পোশাকধারী বিজেপি সাংসদের দাবি, গোমূত্র আমাদের রক্ষাকর্তা। যদিও গত বছর ডিসেম্বর মাসে শরীরে করোনার একাধিক লক্ষণ দেখা দেওয়ায় তড়িঘড়ি দিল্লির এইমসে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
এর আগেও একাধিকবার গোমূত্র এবং করোনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন প্রজ্ঞা ঠাকুর। দিনে পাঁচবার হনুমান চলিশা পাঠ করলেই দেশ থেকে করোনা দূর হয়ে যাবে বলে দাবি করেছিলেন এর আগে। দু'বছর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, গোমূত্র খেয়ে তাঁর ক্যান্সার নিরাময় হয়েছে।
দেশের চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা করোনা মোকাবিলায় গোমূত্র বা গোবরের ব্যবহার নিয়ে বারবার সতর্ক করেছেন। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ডাঃ জে এ জয়ালাল বলেছেন, "গোমূত্র বা গোবর কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এরকম কোনো বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ নেই। কেউ কেউ নিজেদের বিশ্বাস থেকে এরকম কথা বলছেন। পশুদের বর্জ্য পদার্থ খাওয়া ও গায়ে মাখার ফলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকতে পারে। পশুর শরীরে থাকা রোগ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন