ভূপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে একের পর এক বিতর্ক। এবার নিজের বাড়িতে করোনার টিকা নিয়ে তিনি আবারও বিতর্কে জড়ালেন। প্রজ্ঞা ঠাকুরের ভ্যাকসিন নেবার ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই কীভাবে তিনি বাড়িতে বসে টিকা নিলেন তা নিয়ে জোরদার বিতর্ক শুরু হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের সূত্র অনুসারে প্রজ্ঞা ঠাকুরকে বিশেষ নিয়মের ভিত্তিতে বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য এই বিশেষ নিয়ম অনুসারে বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে অক্ষমদের বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
যদিও মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের এই কথায় গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা গত কয়েকদিন ধরেই প্রজ্ঞা ঠাকুর প্রসঙ্গে একাধিক ট্যুইট করেছেন। যেখানে কখনও প্রজ্ঞা ঠাকুরকে বাস্কেটবল খেলতে দেখা গেছে, আবার কখনও প্রজ্ঞা ঠাকুরকে নাচতে দেখা গেছে।
প্রজ্ঞা ঠাকুরের ঘরে বসে টিকা নেবার প্রসঙ্গে নরেন্দ্র সালুজা এক ট্যুইট বার্তায় ভ্যাকসিন নেবার ভিডিও পোষ্ট করে জানিয়েছেন, কিছু দিন আগেই বাস্কেটবল খেলা এবং নাচতে দেখা যাওয়া আমাদের ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর আজ ঘরে টিম ডেকে করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়েছেন? নিজের ট্যুইটে সালুজা আরও বলেন – যেখানে প্রধানমন্ত্রী থেকে শিবরাজজী এবং সব বিজেপি নেতা হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছেন সেখানে আমাদের সাংসদকে এই ছাড় কেন দেওয়া হয়েছে?
প্রসঙ্গত, মালেগাঁও বিস্ফোরণ কান্ডে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর শারীরিক কারণে আপাতত জামিনে মুক্ত আছেন এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি বহুবার আদালতের হাজিরা এড়িয়েছেন। মালেগাঁও বিস্ফোরণ কান্ডে গত ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি জেলবন্দী ছিলেন। যদিও তাঁর সাম্প্রতিক যে সমস্ত ভিডিও সামনে এসেছে তাতে তিনি আদৌ অসুস্থ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তাঁর সমালোচকরা।
গত ১ জুলাই বিজেপি সাংসদের বাস্কেট বল খেলার ভিডিও ট্যুইটারে পোস্ট করে নরেন্দ্র সালুজা লিখেছিলেন, "ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরকে এতোদিন আমরা হুইল চেয়ারেই দেখে এসেছি কিন্তু আজ ওনাকে ভোপালের স্টেডিয়ামে বাস্কেটবল হাতে দেখে খুব খুশি হয়েছি। এতোদিন আমরা জানতাম কোনো আঘাতের কারণে উনি ঠিকভাবে দাঁড়াতে এবং হাঁটতে পারেন না। ভগবান ওনাকে সবসময় এরকম সুস্থ রাখুন।"
গত ৭ জুলাই অন্য এক ট্যুইটে প্রজ্ঞা ঠাকুরের নাচের ভিডিও পোষ্ট করে সালুজা লেখেন - "আমাদের ভোপালের সাংসদ বোন প্রজ্ঞা ঠাকুরকে যখন বাস্কেট বল খেলতে দেখি, কারো সাহায্য ছাড়াই হাঁটতে বা এইভাবে খুশিতে নাচতে দেখি, তখন আমাদের খুব খুশি হয়...?"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন