সঠিকভাবে পরীক্ষা করতেই মধ্যপ্রদেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়লো আরো প্রায় দেড় হাজার। সোমবার আরো ১ হাজার ৪৭৮টি মৃত্যুর খবর মোট মৃতের তালিকায় যোগ করলো প্রশাসন। এর ফলে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ২৭ থেকে বেড়ে হলো ১০ হাজার ৫০৬। এই তালিকা অনুসারে ৭৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে, ৫০৮ জনের সরকারি হাসপাতালে এবং ২০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে হোম আইসোলেশনে থাকার সময়।
২৬ জুন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রতিটি জেলা কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয় সরকারের সার্থক পোর্টালে নথিভুক্ত না থাকা সমস্ত মৃত্যুর খবর খতিয়ে দেখতে, এর মধ্যে করোনাতে কেউ মারা গেছেন কিনা। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত তথ্য নিয়ে তা পরীক্ষা করেছেন সরকারি আধিকারিকরা। এতেই অতিরিক্ত ১ হাজার ৪৭৮টি কোভিডে মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টর ছবি ভরদ্বাজের নির্দেশে এই তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন, কতজন মারা যাচ্ছেন, সুস্থতার সংখ্যা সমস্ত কিছুর তথ্য এই সার্থক পোর্টালে আপলোড করা হয়। জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট আপলোড করা হয়। সিনিয়র সরকারি আধিকারিকের মতে, বেসরকারি হাসপাতাল এবং হোম আইসোলেশনে থাকা বেশিরভাগ রোগীর তথ্য সার্থক পোর্টালে আপলোড করা হয়নি। এই তথ্য নথিভুক্ত করার জন্যই ২৬ জুন জেলা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তালিকায় নতুনভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পর বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে। আগেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিলো সরকার মৃতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে। তালিকায় অতিরিক্ত প্রায় ১৫০০ নাম যুক্ত হবার পর বিরোধীদের দাবি – এই ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয় সরকার কোভিডে মৃত্যু সম্পর্কিত প্রকৃত তথ্য গোপন করেছিলো। বিরোধীদের আরও দাবি – ভূপাল এবং ইন্দোরে সবথেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যেখানে হাসপাতালের বেড, অক্সিজেন এবং ভেন্টিলেটর সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিলো। এখনও পর্যন্ত সরকার যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে সব মৃতের নাম যুক্ত করা হয়নি বলে মনে করছে বিরোধীরা।
রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৬৫৬। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৩৫ জন। মোট মৃত ১০ হাজার ৫০৬।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন