ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশের এক সাংবাদিককের বিরুদ্ধে ৪ দিনে ১১টি এফআইআর দায়ের করলো পুলিশ। অভিযোগ, নাম না করে এক বিজেপি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে খবর লিখেছিলেন একটি স্থানীয় পত্রিকায় কর্মরত ওই সাংবাদিক। ওই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে DiGiPub মিডিয়া সংগঠন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের গুনা শহরের এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক জালাম সিং, নাম না করে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী মহেন্দ্র সিং সিসোদিয়ার একটি ভিডিও নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেন। সেই ভিডিওতে বিজেপি মন্ত্রী সিসোদিয়ার সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলাকে দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও এবং জালাম সিংয়ের ওই রিপোর্ট সমানভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই দলের অভ্যন্তরে সিসোদিয়াকে শীর্ষ নেতৃত্বের তিরস্কার শুনতে হয়েছে বলে সূত্রে খবর।
ওই রিপোর্ট প্রকাশের পর মাত্র চারদিনের ব্যবধানেই সাংবাদিক জালামের নামে গুনা ও শিবপুরি জেলার বিভিন্ন থানায় মোট ১১টি এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মামলাকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই বিজেপির সঙ্গে কোনও না কোনোভাবে যুক্ত। ১১টি মামলা দায়ের হওয়ার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় জালামকে। তাঁর স্ত্রী সুমন কুমার এই নিয়ে জানিয়েছেন, “প্রথম এফআইআর রুজু হওয়ার পরেই পুলিশ বাড়িতে আসে। তখন কিছুদিনের জন্য শহরের বাইরে ছিলেন জালাম। পরপর ১১টি এফআইআর দায়ের হওয়ার পর ওঁকে কোটায় আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।”
জালামের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তাঁর প্রকাশিত খবরে কোথাও বিজেপি মন্ত্রী সিসোদিয়ার নাম উল্লেখ করেননি জালাম। রিপোর্টে শুধুমাত্র ‘অজ্ঞাতপরিচয় রাজনীতিবিদ’ হিসেবে ওই বিজেপি নেতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে গুনা পুলিশের এসপি রাকেশ সাগর জানিয়েছেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে সমস্ত এফআইআর খতিয়ে দেখিনি। তবে হ্যাঁ, বেশিরভাগ এফআইআর কিছুদিনের মধ্যেই হয়েছে। আপাতত থানা পর্যায়েই সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।” মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মন্ত্রী সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশের পরেই এফআইআরগুলি দায়ের হওয়া শুরু হয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মামলাকারীরা কেউই সাংবাদিক জালাম সিংকে চেনেন না। তাঁদের মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন