দলিত ছেলেকে বিয়ে করার শাস্তি হিসেবে করা হল শুচিকরণ। বাবা ও পরিবারের নির্দেশমতো শুচিকরণ মেনে নিয়েও পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তিনি। প্রাপ্তবয়স্ক এক নার্সিং ছাত্রী এমনই অভিযোগ দায়ের করলেন পরিবারের বিরুদ্ধে। তিনি সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছেন পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট সিমালা প্রসাদের কাছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার চোপনা গ্রামে। শুক্রবার তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে পুলিশ সাদা কাগজে সই করে নিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রী।
বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে এই ধরনের জাতপাত সংক্রান্ত অভিযোগ নতুন নয়, এর আগেও উঠেছে। জানা যাচ্ছে, দলিত বিয়ে করার জন্য ওই ছাত্রীকে নর্মদার জলে স্নান করানো হয়। তাঁর চুল কেটে দেওয়া হয়। পোশাকও বদলে ফেলতে হয়। মহিলার অভিযোগ, পরিবার বিবাহবিচ্ছেদের জন্য চাপ দিচ্ছে। নিজের জাতির অন্যকে বিয়ে করার জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, গত বছরের মার্চে তিনি বিয়ে করেন। এবছরের জানুয়ারিতে তাঁর পরিবারকে জানান। তাঁর বাবা তাঁর সঙ্গে প্রকল্প দেখা করেন। তা সত্ত্বেও কয়েকদিন আগে তিনি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যদিও ওই ছাত্রীর দাবি, তাঁর পরিবার খুব ভালো করেই জানত যে, তিনি স্বামীর সঙ্গে কোথায় আছেন।
ছাত্রীর অভিযোগ, পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয় পুলিশ। ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি নার্সিং হোস্টেলে চলে যান। কিন্তু রাখি উৎসবের কথা বলে তাঁকে পরিবার ফিরিয়ে আনে। তারপর থেকেই তার শুচিকরণ প্রক্রিয়া চলে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন