রেলের থানার (জিআরপি) ভিতরেই এক মহিলা এবং এক বছর পনেরোর কিশোরকে নির্মম ভাবে মারছে পুলিশ। সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে নি পিপলস রিপোর্টার)। ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।
জানা যাচ্ছে, ঘটনাটির ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের কটনি রেল স্টেশনে। ভিডিওটি ২০২৩ সালের। ভিডিওতে অরুণা ভাগনে নামে ওই পুলিশ অফিসার, কুসুম ভানস্কর নামে এক দলিত মহিলাকে লাঠি দিয়ে মারছেন। লাথি মারছেন। এবিষয়ে ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁকে সারারাত ধরে মারধর করা হয়েছে তাঁর ছেলের খোঁজ পাওয়ার জন্য। ভিডিওতে দেখতে পাওয়া নাবালক ছেলেটি মহিলার আর এক সন্তান।
জানা গেছে, কুসুম ভানস্করের ছেলের নাম দীপক, একজন দাগী অপরাধী। তার বিরুদ্ধে কটনি রেল পুলিশের কাছে ১৯টি মামলা রয়েছে। অভিযোগ, গত বছর চুরি করে ফেরার হয়ে যায় সে। তখন তাকে খুঁজে দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কার মূল্যও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসাতেই কটনি স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিককে অপসারণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত সুপার সন্তোষ দেহরিয়া জানিয়েছেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োটি দেখে মনে হচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে কটনি জিআরপিতে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে এক মহিলা ও তাঁর নাবালক ছেলেকে মারধর করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হবে।’’
অন্যদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি জিতেন্দ্র পাটোয়ারি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “দলিতদের উপর অত্যাচার উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। অনগ্রসর শ্রেণি ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে বিজেপি। এই ঘৃণার রাজনীতি শেষ হওয়া দরকার।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন