মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন বিজেপি মন্ত্রীসভার সদস্যদের মধ্যে মতানৈক্য চরমে উঠেছে। যা ক্রমশই বাড়ছে বলে জানা গেছে। সংবাদমাধ্যমদের রিপোর্ট অনুসারে মন্ত্রীসভার বৈঠক চলাকালীনও মন্ত্রীরা নিজেদের মধ্যে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। যদিও নিজেদের মধ্যে কোনো বিবাদের কথা অস্বীকার করেছেন মন্ত্রীরা।
মন্ত্রীসভার সদস্যদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের শেষ যে ঘটনা ঘটেছে তাতে নাম জড়িয়েছে যশোধরা রাজে সিন্ধিয়া এবং অরবিন্দ ভাদাউরিয়ার। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে রাজ্যের বনমন্ত্রী বিজয় শাহের পোষাক নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিজয় শাহের পোষাক নিয়ে তাঁর ঠিক পেছনে বসা বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া ক্ষুব্ধ হলে অরবিন্দ ভাদাউরিয়া বলেন – শাহজী আপনি রাজা আর ইনি মহারাজা।
এরপরেই ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে কোঅপারেটিভ মন্ত্রীর জোরদার বিবাদ শুরু হয়ে যায়। এইসময় মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সভায় ছিলেন না।
এই ঘটনার আগে অন্য এক বৈঠকে মন্ত্রী প্রদ্যুম্ন সিং তোমর এবং যশোধরা রাজে সিন্ধিয়ার মধ্যে বিবাদ বাধে। প্রদ্যুম্ন সিং তোমরের কর্মপদ্ধতি নিয়ে যশোধরা রাজে সমালোচনা করায় দুজনের মধ্যে তর্ক বেধে যায়। যদিও এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর দুজনেই এই তর্কের কথা অস্বীকার করেন। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় এবং প্রদ্যুম্ন সিং তোমরকে দলীয় অফিসে ডেকে পাঠানো হয়।
বিজেপির এই আভ্যন্তরীণ বিবাদ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি কমলনাথের মিডিয়া কোঅরডিনেটর নরেন্দ্র সালুজা সাংবাদিকদের জানান – কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পিসি রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়াচ্ছেন। বিজেপি মন্ত্রী প্রদ্যুম্ন সিং তোমর, বিজয় শাহ এবং অরবিন্দ ভাদাউরিয়ার সঙ্গে বিবাদ প্রমাণ করে বিজেপির পুরোনো নেতাদের সঙ্গে যুব নেতাদের সংঘাত এই সবে শুরু।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সরকারের নিজেদের মন্ত্রীদের মধ্যে এই ধরণের বিবাদ জনমানসে ভালো বার্তা দেয়না। এর আগে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলাকালীন একইভাবে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন মন্ত্রীরা। এই ঘটনা প্রমাণ করে রাজ্য সরকারের কাজকর্ম সঠিক পদ্ধতি মেনে হচ্ছেনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন