প্রায় ৭০ হাজার নার্সের ৮দিন ব্যাপী ধর্মঘট হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে উঠতে চলেছে। মোট ১২ দফা দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের নার্সরা। ২ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ধর্মঘটী নার্সদের আন্দোলন থেকে সরে এসে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
নাগরিক উপভোক্তা মঞ্চের তরফে করা একটি আবেদনে আদালতে শুনানি চলাকালীন আদালত মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি চার সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। কমিটিতে থাকবেন মুখ্যসচিব ইকবাল সিং বায়াস-সহ অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব, প্রধান অর্থ সচিব ও স্বাস্থ্য কমিশনার। মোট ৪০ হাজার স্থায়ী নার্সের পাশাপাশি ২০ হাজার কনট্র্যাক্টর, ১০ হাজার নার্স রয়েছে। যাদের কোভিডকালে কাজের জন্য নেওয়া হয়েছে। গত ৩০ জুন থেকে একাধিক দাবিতে এইসব নার্সরাই ধর্মঘটে সামিল হন।
১২ দফার দাবি নিয়ে শিবরাজ সিং চৌহানে সরকারকে একটি স্মারকলিপি জমাও দেওয়া হয়। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করতে গিয়ে মহামারীকালে যেসব নার্সের প্রাণ গিয়েছে, তাঁদের পরিবারপিছু ৫০ লাখ টাকা ও পরিবারের সদস্যদের চাকরির দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও চুক্তিভিত্তিক নার্সদের স্টাইপেন্ড মাসে ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা করার দাবিও করা হয়েছে। আরও বেশি করে পুরুষ নার্স নিয়োগ থেকে শুরু করে সপ্তম বেতন কমিশন অনুসারে বেতন পরিকাঠামো ও পেনশন এবং অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার আবদেনও করা হয়েছে স্মারকলিপিতে।
মধ্যপ্রদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রেখা পারমার জানিয়েছেন, 'আমাদের দাবির মধ্যে কোভিডে মৃত নার্সদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি ছাড়া আর সবকিছুই পুরনো ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার আমাদের কোনও দাবি না শুনে আমাদের বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিয়েছে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন