মানবতার লজ্জা বললেও হয়তো কম বলা হবে। এরকমই এক ঘটনার ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে অন্য এক ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাব করতে দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিও পোষ্ট করেছেন সাংবাদিক রণবিজয় সিং। ভিডিও-র শিরোনামে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই ভিডিও মধ্যপ্রদেশের। এই ব্যক্তিকে যে কোনও মূল্যে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন।’ (এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)।
মঙ্গলবার বিকেল ৪.৫৬ মিনিটে পোষ্ট করা এই ভিডিও ট্যুইট ইতিমধ্যেই রিট্যুইট করেছেন ১,৯২৬ জন। ৩,৩০৫ জন এই ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভালো পোষাক পরিহিত এক ব্যক্তি বসে থাকা এক ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাব করছেন। যার গায়ে প্রস্রাব করা হচ্ছে তাঁর পোশাক দেখে তাঁকে দরিদ্র বলে মনে হচ্ছে।
ভাইরাল ভিডিওতে, এক ব্যক্তি, যাকে বেবা আদিবাসী বলা হচ্ছে, তাঁকে ফুটপাতে বসে থাকতে দেখা যায়, অন্যদিকে প্রবেশ শুক্লা নামে পরিচিত অন্য ব্যক্তিকে তার উপর প্রস্রাব করতে দেখা যায়।
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র আব্বাস হাফিজ এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, প্রবেশ শুক্লা হলেন বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লার প্রতিনিধি, যিনি বিজেপির একজন সিনিয়র নেতা এবং সিধির দুইবারের বিধায়ক।
যদিও বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা সংবাদসংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, “প্রবেশ শুক্লার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, তিনি আমার প্রতিনিধি নন। আমি তাকে চিনি না।”
আইএএনএস-এর পক্ষ থেকে সিধির এসপি মুকেশ শ্রীবাস্তবের সাথে কথা বলার অনেক চেষ্টা করা হলেও, এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক নরেন্দ্র নাথ মিশ্র লিখেছেন, “এই ঘটনা ইতিহাসে মানবীয় অসভ্যতা এবং সামাজিক বৈষম্যের সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম এবং সবচেয়ে ভয়ঙ্কর উদাহরণ হিসাবে থেকে যাবে। এই ব্যক্তি একজন গরীব অসহায় মানুষের গায়ে শুধু প্রস্রাব করেননি, প্রস্রাব করেছেন সমগ্র সভ্য সমাজের ওপর। এই ছবি সম্মিলিত লজ্জার ছবি। এই প্রস্রাব আমাদের বিবেকের উপরও।”
এই ভিডিওতে মন্তব্য করতে গিয়ে জনৈক মিনু তিওয়ারী লিখেছেন, ভারতের কী ছবি বিদেশে পৌঁছচ্ছে?
জনৈক গণেশ কুমার এই ভিডিওতে মন্তব্য করতে গিয়ে লিখেছেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু গত ৯ বছর ধরে ভারতে এই ধরণের অমানবিক নৃশংস ঘটনা ঘটছে।
আইনজীবী বিবেক গুপ্ত এই ভিডিওতে লিখেছেন, মধ্যপ্রদেশ পুলিশের উচিত অবিলম্বে এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা।
জনৈক ইমতিয়াজ আহমেদ এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, যখন গরিব মানুষের ওপর এইভাবে অত্যাচার করা হয় তখন বুঝতে হবে দেশে আর কোনও আইনকানুন নেই।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন