মহারাষ্ট্রে এবার আন্দোলনে নামছেন ক্ষুব্ধ তুলো চাষিরা।
উৎপাদন কমে যাওয়া, বিক্রি মূল্য হ্রাস ও খরচ বৃদ্ধির জেরে বিপাকে পড়েছেন রাজ্যের হাজার হাজার তুলো চাষি। জরুরী পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে মেলেনি সুরাহা। তাই, এবার বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামছেন তুলো চাষিরা।
সূত্রের খবর, আগামী বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন ১০ হাজারের বেশি ক্ষুব্ধ তুলো চাষি। এদিন, ১০০০ কুইন্টাল অবিক্রীত কাঁচা তুলো পুড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, তুলো চাষে যুক্ত রয়েছেন রাজ্যের ৮০ লক্ষেরও বেশি কৃষক। প্রবীণ কৃষক নেতা বিজয় জাভান্ধিয়া জানান, গত বছর ১০.২০ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে তুলো চাষ হয়েছিল। এবং, তুলোতে কুইন্টল পিছু ১৪,০০০ টাকা করে পেয়েছিলেন কৃষকেরা।
তবে, চলতি বছরে মৌসুমের শুরুতেই অতি বৃষ্টিতে নষ্ট/ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০ শতাংশ উৎপাদিত তুলো। এই ঘটনা চাষিদের কাছে বড় ধাক্কা হিসাবে দেখা দিয়েছে।
জাভান্ধিয়া বলেন, ‘চলতি বছরে তুলোর দাম প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। গত বছরে তুলোর দাম যেখানে ছিল কুইন্টল পিছু ১৪,০০০ টাকা, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে কুইন্টল পিছু ৭,০০০ টাকা। এছাড়া, তুলো রপ্তানি ৬ মিলিয়ন বেল থেকে কমে মাত্র ২ বিলিয়ন বেলে নেমে গেছে। এর ফলে, বিপাকে পড়েছে তুলো চাষিরা। সকলেই নতুন করে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েছেন।’
শিবসেনা (ইউবিটি)-এর কৃষক নেতা কিশোর তিওয়ারি বলেন, এই বছর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তুলো চাষিরা আত্মহত্যা করছেন। ইতিমধ্যেই বিদর্ভ, মারাঠওয়াড়া এবং উত্তর মহারাষ্ট্র অঞ্চলে ৩,৩০০ এর বেশি তুলো-চাষীর আত্মহত্যার খবর মিলেছে।’
তিনি বলেন, ’আগামী ১৮ মে, আমরা সমাবেশের ডাক দিয়েছি। তুলো চাষীদের কুইন্টল পিছু ৫০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। এই দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে তুলো চাষিরা।’
দুই কৃষক নেতাই জানিয়েছেন, সমাবেশে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক চাষিই, তাঁদের বাড়িতে পড়ে থাকা ১০ কেজি তুলো সঙ্গে নিয়ে আসবেন। তারপর, সেগুলি একজায়গায় ফেলে দেওয়া হবে। তারপরে, সরকারের কৃষক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসাবে এই তুলোতে অগ্নিসংযোগ করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন