Maharashtra: আচমকাই শারদ পাওয়ারের বাড়িতে ছগন ভুজবল - দুই বিরোধী নেতার বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক গুঞ্জন

People's Reporter: এনসিপি (এসপি) প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের কোনও কারণ জানাননি ভুজবল। যদিও সূত্রের খবর নিজের দলের সঙ্গে এবং দলীয় শীর্ষ নেতা অজিত পাওয়ারের সঙ্গে ইদানীং দূরত্ব তৈরি হয়েছে ভুজবলের।
দলীয় কর্মসূচিতে ছগন ভুজবল
দলীয় কর্মসূচিতে ছগন ভুজবল ছবি ছগন ভুজবলের এক্স হ্যান্ডেল থেকে সংগৃহীত
Published on

এনসিপি (এসপি) প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করলেন মহারাষ্ট্রের এনডিএ সরকারের মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সোমবারের এই সাক্ষাৎকার ঘিরে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন।

এনসিপি (এসপি) প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের কোনও কারণ জানাননি ভুজবল। যদিও সূত্রের খবর নিজের দলের সঙ্গে এবং দলীয় শীর্ষ নেতা অজিত পাওয়ারের সঙ্গে ইদানীং দূরত্ব তৈরি হয়েছে ভুজবলের। তিনি এনসিপি-র অজিত গোষ্ঠীতে থাকলেও দলের মধ্যেই তাঁকে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছে বলেও কেউ কেউ জানিয়েছেন।

ছগন ভুজবলের এই পদক্ষেপে নড়েচড়ে বসেছে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন মহায়ুতি জোট। বিজেপি, শিবসেনা শিন্ধে গোষ্ঠী এবং এনসিপি অজিত পাওয়ার এই গোষ্ঠীর জোটের পক্ষ থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানিয়েছেন, ভুজবল এমন কিছু করবেন না যাতে রাজ্যে মহায়ুতি সরকার বিপদে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, ভুজবল নিশ্চই আমাদের জানাবেন কী কারণে তিনি শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আমরা আশা করি এই বৈঠক এবং বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে তিনি স্বচ্ছতা রক্ষা করে চলবেন।

এই সাক্ষাতের আগে গত রবিবার প্রকাশ্যেই মহা বিকাশ আঘাদির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন ছগন ভুজবল। গত ৯ জুলাই মহারাষ্ট্রের সর্বদলীয় বৈঠক থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় মহাবিকাশ আঘাদি জোটের কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি) এবং এনসিপি (এসপি) নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ ছিল, মারাঠা সংরক্ষণ ইস্যুতে রাজ্যের বিরোধী জোট মহাবিকাশ আঘাদির সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি মহারাষ্ট্র সরকার।

এই বয়কট প্রসঙ্গে মুখ খুলে ছগন ভুজবল রবিবার বলেন, ৯ জুলাইয়ের বৈঠকে মহাবিকাশ আঘাদির কোনও নেতৃত্ব যোগ দেয়নি কারণ ওইদিন বিকেল ৫টায় বারামতী থেকে এক ফোন কল এসেছিল। প্রসঙ্গত, বারামতীতেই শারদ পাওয়ারের বাড়ি এবং ভুজবল ইঙ্গিত করেছিলেন যে শারদ পাওয়ারের ফোনের কারণেই কোনও বিরোধী নেতা সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেননি।

শারদ পাওয়ার এবং ভুজবলের সাক্ষাতে মহায়ুতির পক্ষ থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিবৃতি দিলেও রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গানটিওয়ার জানিয়েছেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য, বিরোধিতা থাকলেও মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতৃত্ব একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। এটাও সেরকমই একটি ঘটনা। দুই নেতার মধ্যে সাক্ষাৎকারের কারণ খুঁজতে বসা এবং কিছু একটা ভেবে নেওয়া অপ্রয়োজনীয়।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in