২৫ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক দুর্নীতি মামলায় ক্লিন চিট পেলেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ার। বুধবার মহারাষ্ট্র পুলিশের ইকনোমিক অফেন্সেস উইং (EOW) তাঁকে ক্লিনচিট দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র স্টেট কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক (MSCB) মামলায় ২৫ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল।
এদিনের ক্লিন চিটের পর শিবসেনা (ইউবিটি)-র পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলীয় নেতা আনন্দ দুবে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অভিযোগ তুলেছিলেন এবং পাওয়ার পরিবারকে দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার বলে অভিহিত করেছিলেন। কিন্তু আজ তাঁকেই ক্লিনচিট দিয়ে দেওয়া হল। যে যে নেতার বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ ছিল, তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবার পরেই সকলে ক্লিন চিট পেয়ে যাচ্ছে। ইকোনমিক অফেন্সেস উইং তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে এই মামলায় কোনও অপরাধমূলক ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিজেপি বিরোধী নেতাদের নিজেদের পক্ষে আনার জন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে এবং বিজেপিতে যোগ দেবার পরে তাদের ক্লিন চিট দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এর পরেও যারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে না তাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা পাঠানো হচ্ছে এবং নানাভাবে বিব্রত করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে এবং জেলে পাঠানো হচ্ছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীরাও ছাড় পাচ্ছেন না। অন্যদিকে যেই কেউ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তাঁকে উপ মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী অথবা লোকসভায় মনোনয়ন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা যদি একনায়নতন্ত্রের প্রকাশ না হয় তাহলে এটা কী?
প্রসঙ্গত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বারামতী লোকসভা কেন্দ্র থেকে এনসিপি (অজিত পাওয়ার) গোষ্ঠীর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ার। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মহাবিকাশ আঘাদি প্রার্থী এবং তাঁর পরিবারের সদস্য, শারদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে। তিনি এনসিপি (শারদচন্দ্র পাওয়ার) দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই কেন্দ্রকে পাওয়ার পরিবারের ঘাঁটি বলে মনে করা হয়। এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বারামতী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অজিত পাওয়ার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন