চলতি মাসেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ৫ নেতাকে বহিষ্কার করলেন উদ্ধব ঠাকরে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ভিওয়ান্ডি পূর্ব বিধায়ক রূপেশ মাত্রে, বিশ্বাস নান্দেকর, চন্দ্রকান্ত ঘুগুল, সঞ্জয় আওয়ারি এবং প্রসাদ ঠাকরে।
মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোট শিবির (কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি) এবং এনসিপি (শরদ পাওয়ার)) থেকে মোট ১৪ জন নেতা দলীয় আদেশ অমান্য করে মনোনয়ন জমা দেন। এরপর প্রতিটি দল থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয় মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য। সোমবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। এদিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা মুখতার শেখ। তিনি পুনের কসবা পেঠ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা দেন। দলের অফিসিয়াল প্রার্থী রবীন্দ্র ধাঙ্গেকারকে সমর্থনের ঘোষণা করেছেন তিনি।
যে সাতজন কংগ্রেস বিদ্রোহী তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন নাসিক সেন্ট্রালের হেমলতা পাতিল, বাইকুল্লা থেকে মধু চভান এবং নন্দুরবার থেকে বিশ্বনাথ ওয়ালভি। দুজন বিক্ষুব্ধ এনসিপি (শরদ পাওয়ার) নেতা তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর, ২৮৮ টি কেন্দ্রে মোট ৪,৪১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২,৯৩৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন। এই পরিসংখ্যানটি ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনের থেকে ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১০৫ টি আসন, শিবসেনা ৫৬ টি এবং কংগ্রেস ৪৪ টি আসন জিতেছিল৷ তার আগে ২০১৪ সালে বিজেপি ১২২ টি আসন, শিবসেনা ৬৩ টি এবং কংগ্রেস ৪২ টি আসন পেয়েছিল৷
আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। এক দফাতেই ২৮৮ আসনে নির্বাচন হবে। ফল ঘোষণা ২৩ নভেম্বর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন