বিরোধী দলগুলোর একাধিক সিনিয়র নেতার নিরাপত্তা সরিয়ে দিল একনাথ শিন্ডে-ফড়নবিশ সরকার। এর মধ্যে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর নেতারা রয়েছেন। শুক্রবার সরকারিভাবে একথা জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা প্রত্যাহার সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত বর্তমানে ওই রাজনীতিবিদদের জীবনে হুমকির কতটা প্রভাব রয়েছে, তা বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপের সাথে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
সূত্রের খবর, মহা বিকাশ আঘাদি জোটের প্রায় ২৫ জন নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর অর্থ এবার থেকে এই রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আর কোনও পুলিশ থাকবে না এবং এঁদের বাসভবনেও কোনও পুলিশি পাহারা থাকবে না।
যাঁদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন -
NCP: রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার; দুই প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাতিল এবং অনিল দেশমুখ; নবাব মালিক; ধনঞ্জয় মুন্ডে; নরহরি জিরওয়াল; একনাথ খাড়সে।
কংগ্রেস: বালসাহেব থোরট; নানা পাটোলে; বিজয় ওয়াদেটিওয়ার; সতেজ পাটিল; সুনীল কেদারে।
শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী): সঞ্জয় রাউত; অনিল পরব; ভাস্কর যাধব; বরুণ সারদেশাই; কলাবেন দেলকার (সাংসদ, দাদরা নগর হাভেলি) সহ অনেকে।
কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী - পৃথ্বীরাজ চবন এবং অশোক চবনের নিরাপত্তা কমিয়ে তাঁদের Y ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ঠাকরে গোষ্ঠীর নেতা মিলিন্দ নার্ভেকরের। সম্প্রতি গুঞ্জন শোনা গেছিল, নার্ভেকর একনাথ শিন্দে শিবিরে যাবেন। গণেশ চতুর্থীর দিন নার্ভেকরের বাড়িতেও গিয়েছিলেন শিন্দে।
যদিও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও তাঁর পরিবার এবং এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা আগের মতোই রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন