কোভিড১৯ অতিমারির জন্য লকডাউনে দীর্ঘ ১৮মাস বন্ধ থাকার পরে মহারাষ্ট্রে সোমবার থেকে খুলে গেল বেশিরভাগ স্কুল। তবে প্রাথমিক বিভাগ আগের মতোই বন্ধ থাকছে।
দীর্ঘদিন পর গতকাল সকালেই বেজেছে স্কুলের ঘণ্টা। ক্লাসে যাওয়ার জন্যে হুড়োহুড়ি।অনেক স্কুলে দিনটিকে বিশেষ করে তুলতে শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীরা ছাত্রছাত্রীদের গোলাপ, চকোলেট বা মিষ্টি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
উত্তেজনায় টগবগ করা ছাত্রছাত্রীদের ছাত্রছাত্রীদের পরনে ঝকঝকে ইউনিফর্ম একলা বা দল বেঁধে দাঁড়াল গেটে। ধৈর্য ধরে দেহের তাপমাত্রা মাপাতে দেখা গেল সকলকে।স্যানিটাইজারে হাত ধুয়ে এগোল ক্লাসে দিকে।
বিদ্যালয়শিক্ষা মন্ত্রী অধ্যাপক বর্ষা গায়কোয়াড় গতকাল সিয়ন-ধারাভির কয়েকটি স্কুল পরিদর্শন করেন। ক্লাসে গিয়ে কথা বলেন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। সব রকম সতর্কতা নিয়ে কোভিড পূর্ববর্তী পরিস্থিতিতে স্কুল চালানোর পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, নতুন দিন এসেছে,নতুন যাত্রা শুরু হল, আলোয় বেরিয়ে এস, ক্লাসরুমে স্বাগত সকলে।.
মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পাদনেকর কয়েকটি স্কুলে যান। কথা বলেন ছাত্র ও কর্মীদের সঙ্গে। প্রোটোকল মেনে চলার নির্দেশ দেন। ছাত্রছাত্রীদের জন্য পানীয় জল, পরিচ্ছন্ন শৌচাগার, স্যানিটাইজ করা ক্লাসরুমের মতো প্রাথমিক সুবিধাগুলি যাতে প্রাপ্ত হয় তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলেন।
সরকারী নির্দেশে গ্রামাঞ্চলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী এবং শহরাঞ্চলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস শুরু হয় সোমবার থেকে।
তবে পুনের জ্ঞানগঙ্গা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মতো কয়েকটি স্কুল দরজা বন্ধ রেখেছে গতবছরের ফি যারা দেয়নি তাদের জন্য। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবক এবং রাজনৈতি দলগুলি।
বেশ কয়েকটি জেলায় সরকারি ও আধা সরকারি স্কুলে প্রথমদিন অন্ধকারেই ক্লাস করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। কারণ বিদ্যুতের বিল না মেটানোয় সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে।
মুম্বই,ঠানে, পুনের মতো কোন কোন জায়গায় স্কুল বাস চালু না হওয়ায় ছাত্রছাত্রী অভিভাবকদের নিজেদেরই যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হয়।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন