মহারাষ্ট্রের থানের ডম্বিভলি এলাকায় ভয়াবহ বয়লার বিস্ফোরণ। তৎক্ষণাৎ আগুন ছড়িয়ে পরে আশেপাশের শিল্প এলাকাগুলিতে। জানা গেছে, যার ফলে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। মহিলা সহ আহত প্রায় ৬৪ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বিস্ফোরণের ফলে ইতিমধ্যেই অমুদান কেমিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হত্যার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে কল্যাণ ডম্বিভলি পুরনিগমের ফায়ার অফিসার দত্তাত্রেয় শেলকে জানিয়েছেন, আপাতত কুলিং অপারেশন চলছে। তবে তাঁর আশঙ্কা, ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় মহিলা-সহ আহত প্রায় ৬৪ জন। এইমস হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। মৃতদের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ ডম্বিভলির শিল্পাঞ্চলের এমআইডিসি ফেজ-২-এ অমুদান কেমিক্যাল কোম্পানির রাসায়নিক কারখানার ভিতরে একটি বয়লার বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। তার পর আরও দু’টি বয়লারে বিস্ফোরণ হয়। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের কারখানা এবং বাড়িতেও আগুন লেগে যায়। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলতে থাকে। উদ্ধারকাজে যোগ দেয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও (এনডিআরএফ)।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এই বিস্ফোরণের জন্য ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি মৃতদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেন। এবং আহতদের চিকিৎসার ভার গ্রহণ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার বলে জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ওই কারখানায় তৈরি হত ফুড কালার। আর তাতে পারক্সাইড ব্যবহার করা হয়, যা অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল। এর ফলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অমুদান কেমিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকদের বিরুদ্ধেভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে থানে পুলিশ কমিশনারেটের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন ওই ঘটনার তদন্ত করতে একাধিক দল গঠন করা হয়েছে। যে সরকারি অফিসাররা ওই কারখানাকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন