প্রায় নিঃশব্দ অপারেশানে এনসিপি দলকে প্রায় পুরোটাই নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা শারদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার। রবিবারের ঘটনায় মহারাষ্ট্রে বিরোধী শক্তি আরও বেশ কিছুটা শক্তি হারালো বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিনের বিদ্রোহের পরেই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন অজিত পাওয়ার।
রবিবার অজিত পাওয়ার ছাড়াও এনসিপি-র ছগন ভুজবল, দিলিপ ওয়ালসে পাটিল, হাসান মুশরিফ, ধনঞ্জয় মুন্ডে, ধর্মরাও বাবা আতরাম, অদিতি সুনীল ততকারে, সঞ্জয় বাসোদে এবং অনিল পাতিল মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের ইতিহাসে এবারই প্রথম দুজন উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন। অজিত পাওয়ার ছাড়াও রাজ্যের আরেক উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।
এই নিয়ে গত তিন বছরে তৃতীয়বার এবং মোট পাঁচবার উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন অজিত পাওয়ার। ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের অধীনে তাঁর উপমুখ্যমন্ত্রীত্বের মেয়াদ ছিল ৮০ ঘণ্টা। এরপর মহাবিকাশ আঘাদি সরকারের আমলেও তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী হন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের অধীনে। এবার একনাথ শিন্দে সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অজিত পাওয়ার।
এদিনই পুণেতে ঘনিষ্ঠ মহলে শারদ পাওয়ার জানিয়েছেন, এনসিপি এই শপথগ্রহণ সমর্থন করে না। যারা অজিত পাওয়ারের গোষ্ঠীর সঙ্গে গেছেন তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর সঙ্গে দল জড়িত নয়। তিনি আরও বলেন, যারা অজিত পাওয়ারের সঙ্গে শিবির বদল করেছেন তাঁদের ৮০ শতাংশ খুব দ্রুত এনসিপিতে ফিরে আসবেন।
রবিবার মহারাষ্ট্রে এনসিপিতে ভাঙনের পর শিবসেনা (ইউবিটি) গোষ্ঠীর মুখপাত্র সঞ্জয় রাউথ সাংবাদিকদের বলেন, যারা আজ মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী হলেন, তাঁদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অভিযোগ আছে। এঁদের সকলকেই জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছিল বিজেপি এবং তাঁদেরকেই আজ মন্ত্রী করা হয়েছে।
সঞ্জয় রাউথ আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তিনি শারদ পাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং পাওয়ার তাঁকে জানিয়েছেন তিনি আদৌ এই ঘটনায় বিচলিত নন। কারণ আমাদের সঙ্গে জনগণের সমর্থন আছে। আমরা আবারও উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন ভাবে সংগঠন গড়ে তুলবো। রাজ্যের মানুষ এই ধরণের পদক্ষেপ দীর্ঘদিন বরদাস্ত করবে না।
জানা গেছে, এদিনই বিকেলে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার এবং বিজেপি শিবসেনা সরকারের সমর্থনের কথা জানান। রাজ্যপালের হাতে কমপক্ষে ৩৬ জন এনসিপি বিধায়কের সমর্থনপত্র তিনি তুলে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিশেষ সূত্র অনুসারে, সম্ভবত আজ রাতেই মুম্বাইতে আসছেন এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্ষীয়ান নেতা শারদ পাওয়ার।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন