‘বিজেপি গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক এবং ক্ষমতা দখলের জন্য যে কোনো কাজ করতে পারে।’ বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভা প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের রায়দানের পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কংগ্রেস-এর মহারাষ্ট্র প্রদেশ সভাপতি নানা পাটোলে বৃহস্পতিবার বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম যে বিজেপি রাজভবনকে অপব্যবহার করে মহারাষ্ট্রে আমাদের সরকার ফেলতে সচেষ্ট ছিল। আজ শীর্ষ আদালত এই প্রসঙ্গে একাধিক উদাহরণ এনে দেখিয়েছে যে কীভাবে রাজ্যপাল ভগত সিং কেশিয়ারী মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাদি সরকার (MVA) ফেলতে সচেষ্ট ছিলেন।
মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকার অবৈধ এবং অসাংবিধানিক - সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করে তিনি বলেন এটা মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের গালে এক ‘কড়া থাপ্পড়’। পাটোলে আরও বলেন, অবিলম্বে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ধে, উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং স্পীকার রাহুল নারওয়েকার-এর অবিলম্বে নৈতিক কারণে পদত্যাগ করা উচিত।
নানা পাটোলে আরও বলেন, মহাবিকাশ আঘাদি সরকার ফেলতে শুধু যে বিজেপিই সক্রিয় ছিল এবং রাজভবনকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে এমনটা নয়। বরং ওই সরকারকে ফেলতে বিভিন্ন এজেন্সিকেও ব্যবহার করা হয়েছিল এবং এখন সে সব পরিষ্কার হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আজ সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ থেকে এটা পরিষ্কার যে, বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এটা খুবই ভয়ংকর ঘটনা এবং তারা ক্ষমতা দখলের জন্য যে কোনো কাজ করতে পারে।
পাটোলে বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা এখন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের ক্ষমতালোভী বিজেপি সরকারের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে, যা গণতন্ত্রের পক্ষে এবং সংবিধানের পক্ষে বড়ো হুমকি।
কংগ্রেস মুখপাত্র অতুল লোন্ধে বলেন, শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর স্পীকার রাহুল নারওয়েকারের পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।
শীর্ষ আদালতের রায় প্রসঙ্গে কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক শচীন সাওয়ন্ত বলেন, প্রাক্তন রাজ্যপাল একজন আরএসএস কর্মী ছিলেন, যিনি তাঁর সম্মানীয় পদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারেননি এবং মহারাষ্ট্রের মানুষ ক্ষমতার লোভে রাজনীতিকে কালিমালিপ্ত করার কারণে কখনও বিজেপিকে ক্ষমা করবে না।
পাটোলে বলেন, "যদিও শিন্দে-ফড়নবীস সরকার এক সাময়িক প্রতিশ্রুতি পেয়ে এখন নিয়মের বেড়াজালে টিকে আছে, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ, এই শাসনকে কার্যত অবৈধ এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে,"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন