রাজনৈতিক দল, কৃষক সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, শিক্ষক, মহিলা, যুবক, শ্রমিক এবং অন্যান্যদের নিয়ে গঠিত প্রায় ১০০ টি সংগঠন ২৭ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (SKM) ডাকা 'ভারত বনধ’–এ অংশ নেবে। কিষাণ মোর্চার শীর্ষ আয়োজকরা মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন।
অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভার (AIKS) সভাপতি ডঃ অশোক ধাওয়ালে জানান, AITUC-র সর্বভারতীয় কার্য কমিটির সদস্য ডঃ ভালচন্দ্র কঙ্গোর সভাপতিত্বে সমস্ত গ্রুপের একটি রাজ্য স্তরের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবারের ওই বৈঠকে প্রায় ১০০ টি সংগঠনের ২০০ -র বেশি নেতা অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তিনি বলেন - বৈঠকে বক্তারা বর্তমান কৃষকদের আন্দোলন, শ্রমিকদের সমস্যা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রে BJP-RSS শাসনের ‘দেউলিয়া নীতির’ বিরুদ্ধে ‘ভারত বনধ’-এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই সভায় সমস্ত সংগঠনের সমর্থকদের একত্রিত করা এবং মহারাষ্ট্রে 'ভারত বন্ধ' সফল করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।
একটি প্রতিনিধিদল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি নানা পটোলে, এনসিপি রাজ্য সভাপতি ও মন্ত্রী জয়ন্ত পাতিল, উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এবং এনসিপি -র সিনিয়র মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র আওহাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন, যারা আগামী সোমবারের ভারত বনধে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।
বৈঠকে বিশিষ্ট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিদ্যা চ্যাভান (এনসিপি), রাজু কর্দে (পিডব্লিউপি), মেরাজ সিদ্দিকী (এসপি), ধনঞ্জয় সিন্দে (আপ), প্রভাকর নরকার (জেডি-এস), এস.কে. রেগে (সিপিআই-এম), প্রকাশ রেড্ডি (সিপিআই), উলকা মহাজন (সর্বহারা জন আন্দোলন), তিস্তা সেতলভাদ (সবরং ভারত), ফিরোজ মিথিবোরওয়ালা (এইচবিকেএল), অনিল ত্যাগী (এসইউসিআই), কিশোর ধামালে (এসসিপি), সুভাষ কাকুস্তে (এলএনপি) , বিবেক মন্টেইরো (CITU), অধ্যাপক তাপী মুখোপাধ্যায় (MFUCTO), মিলিন্দ রণাডে (NTUI), যুবরাজ ঘটকাল (NAPM), প্রাচী হাতিউলেকর (AIDWA) এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতারা।
অন্যান্য প্রধান গোষ্ঠীর মধ্যে ছিল - জন আন্দোলনানচি সংগ্রাম সমিতি, সম্মিলিত কৃষক শ্রমিক মোর্চা, সর্বভারতীয় কিষাণ সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি, ট্রেড ইউনিয়ন জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি, অসংগঠিত শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি, ইত্যাদি।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন