রপ্তানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের পথে গেলেন নাসিকের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। এই নিয়ে এক মাসের মধ্যে দু’বার তাঁরা ধর্মঘটের পথে গেলেন। কেন্দ্রের নির্দেশে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ফসলের রপ্তানী শুল্কে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদে তাদের এই লাগাতার ধর্মঘট।
পাইকারি ব্যবসায়ী সংগঠনের অভিযোগ, রপ্তানি শুল্ক বৃদ্ধির ফলে শাকসবজি রপ্তানি করা কঠিন হবে এবং কৃষকরা এর ফলে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কারণ ইতিমধ্যেই এই বছরের অনিয়মিত বর্ষায় চাষের কাজে ক্ষতি হয়েছে।
ধর্মঘটের বিরোধিতা করে রাজ্যের বিপণন মন্ত্রী আবদুল সাত্তার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার মতে, পাইকারি ব্যবসায়ীদের এই ধর্মঘটের ফলে উৎসবের মরসুমের আগে ঘাটতি এবং খুচরা মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
যদিও নিজেদের দাবিত অনড় আছেন ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজের ওপর রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহারসহ তাঁরা অন্যান্য বিভিন্ন দাবিদাওয়ায় তাঁরা ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে গত মাসেও, পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতারা একই রকম প্রতিবাদে শামিল হয়। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভারতী পাওয়ারের হস্তক্ষেপের পরে সেবার ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
গত মাসে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ছিল মূলত কেন্দ্রের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে। সেবার অভিযোগ করা হয় যে দামে কৃষকদের কাছ থেকে নাফেড-এর পেঁয়াজ কেনার কথা ছিল কৃষকরা প্রতি কুইন্টালে সেই দর পাচ্ছেন না। পেঁয়াজের প্রস্তাবিত মূল্য ছিল ২,৪১০ টাকা প্রতি কুইন্টালের।
এই সপ্তাহে নাসিক এপিএমসিতে ১৮ হাজার কুইন্টালের কিছু বেশি পেঁয়াজ নিলামে কুইন্ট্যাল পিছু প্রায় ২,০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
মুম্বাইয়ের মতো শহুরে কেন্দ্রগুলিতে আকার এবং মানের উপর নির্ভর করে পেঁয়াজের বর্তমান খুচরা দাম প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন