অসাংবিধানিক এবং স্বেচ্ছাচারী বলে অভিহিত করে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভা থেকে ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বছরব্যাপী সাসপেনশনের নির্দেশ বাতিল করেছে।
বিচারপতি এ এম খানউইলকরের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ এদিন জানায়, সাসপেনশন শুধুমাত্র হাউসের একটি অধিবেশনের জন্য হতে পারে। বেঞ্চ আরও জানায়, ১২ জন বিজেপি বিধায়ককে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করার প্রস্তাবটি বেআইনি এবং এটিকে অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারী, শীর্ষ আদালত গত বছরের জুলাই মাসে হাউসে তাদের কথিত অসদাচরণ এবং দুর্ব্যবহারের জন্য মহারাষ্ট্র বিধানসভা থেকে ১২ জন বিজেপি বিধায়কের এক বছরের সাসপেনশনকে চ্যালেঞ্জ করে আনা পিটিশনের উপর রায় রিজার্ভ করে।
মহেশ জেঠমালানি, মুকুল রোহাতগি, নীরজ কিষাণ কৌল, এবং সিদ্ধার্থ ভাটনাগর - বিশিষ্ট আইনজীবীদের এই দল সাসপেন্ডেড বিধায়কদের পক্ষে আদালতে দাঁড়ান। তাঁদের সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সিদ্ধার্থ ধর্মাধিকারী এবং অভিকল্প প্রতাপ সিং।
মহারাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র আইনজীবী সিএ সুন্দরম যুক্তি দিয়েছিলেন যে আইনসভা থেকে কোনো সদস্যকে এক বছরের জন্য বরখাস্ত করা হলে তা সংবিধান লঙ্ঘন নয়। এর বিরুদ্ধে পিটিশনকারীদের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে কেবলমাত্র অন্তর্নিহিত ক্ষমতা প্রয়োগ করলে হাউস সংবিধানের পরিপন্থী কাজ করতে পারে এবং কোনও প্রাথমিক ক্ষমতা সংবিধান বা মৌলিক অধিকারের বাইরে যেতে পারে না।
আবেদনকারীরা যুক্তি দেন যে এই স্থগিতাদেশের কোন যৌক্তিকতা নেই এবং এই ঘটনা নির্বাচনী এলাকার অধিকারকে প্রভাবিত করে। রোহাতগি জোরের সঙ্গে জানান ১-বছরের স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, যা ন্যায়বিচার নয়।
শুনানির সময়, শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণ করেছিল যে জুলাই মাসে বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রে স্পিকার ইন চেয়ারের সাথে দুর্ব্যবহার করার জন্য মহারাষ্ট্র বিধানসভা থেকে ১২ জন বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশনের ঘটনা "বহিষ্কারের চেয়েও খারাপ"।
বিধায়কদের কথা বলার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে অস্বীকার করার পর তৎকালীন স্পিকার-ইন-চেয়ার ভাস্কর যাদবের সাথে দুর্ব্যবহার করেন সাসপেন্ড হওয়া বিধায়করা। এর পরেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়।
সাসপেন্ড করা বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন- আশিস শেলার, গিরিশ মহাজন, অতুল ভাটকালকার, জয়কুমার রাওয়াল, যোগেশ সাগর, নারায়ণ কুচ, অভিমন্যু পাওয়ার, সঞ্জয় কুটে, রাম সাতপুতে, পরাগ আলভানি, কীর্তিকুমার ভাঙ্গাদিয়া এবং হরিশ পিম্পলে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন