মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর জন্যই বাংলার মাটিতে বাড়বাড়ন্ত বেড়েছে বিজেপির। এমনই বিষ্ফোরক মন্তব্য করে তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন মমতার বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানালেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।
জয়রাম রমেশের কথায়, মমতা ব্যানার্জী কী বোঝাতে চাইছেন - বিজেপি 'খারাপ' অথচ নরেন্দ্র মোদী 'ভালো'? তাঁর গলায় বিজেপির বিরুদ্ধে কটাক্ষের সুর, সিবিআই-ইডির বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ শোনা গেলেও নরেন্দ্র মোদীকে কার্যত ক্লিনচিট দিলেন মমতা। কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরী হওয়ায় বাংলার বহু নেতা কংগ্রেস ছেড়ে মমতা ব্যানার্জীর হাত ধরেছেন। যার জেরে ক্রমশ দুর্বল হয়েছে কংগ্রেস। বাংলাতেও তাঁর যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে রমেশ আরও বলেন, "কংগ্রেস নামের পেটেন্ট থাকলে ভালো হত। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এই নামের ব্যবহার করা হয়। কেউ কেউ বিরোধী জোট গড়ে কংগ্রেসকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। নিজেদের দলের সাথেও কংগ্রেস নাম জোড়ার চেষ্টা করছে। পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করছে। এইভাবে কংগ্রেসকে ভাঙা যাবে না।"
সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অতিসক্রিয়তা প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন, "বর্তমানে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকে না। এইগুলির দায়িত্বে থাকেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই আমার বিশ্বাস নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে অনেক কিছুই জানেন না। কলকাতায় ২১টা রেড করেছে ইডি। এক মাসে ১০৮টা কেস করেছে ইডি সিবিআই। আমি বিশ্বাস করি না নরেন্দ্র মোদী এটা করেছেন। সবটাই হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যের বিজেপি নেতাদের নির্দেশে।"
মমতার এই মন্তব্যের পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বাম-কংগ্রেস। তাঁদের মতে, তাহলে কী বিজেপি 'খারাপ', মোদী 'ভাল' - এমনটাই বলতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী? এর আগেও একাধিক বার তৃণমূল-বিজেপির আঁতাত স্পষ্ট বলে দাবি করেছিল বিরোধীরা।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সোশাল মিডিয়া সেলের চেয়ারপার্সন সুপ্রিয়া শ্রীনেতের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর মোদির নির্দেশ ছাড়া একটা পাখিও ওড়ে না। অথচ, সেখানে তাঁকে ক্লিনচিট দিচ্ছেন মমতা ব্যানার্জী। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো উঠছে সেগুলোকেও কি ক্লিনচিট দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী? বিরোধী আসনে থেকে এমন লুকোচুরি খেলা যায় না। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান একদম স্পষ্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন