বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই ইউপিএ নেই বলে হুমকি দিন না কেন, বিরোধী জোটে কংগ্রেসকে অবশ্যই দরকার, সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ছত্রিশগড় ভূপেশ বাঘেল। তৃণমূল সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করে পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী নিজের দলকে প্রধান দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান? আগে স্পষ্ট করুন উনি কেন্দ্রের শাসক বিজেপির সঙ্গে লড়তে চান? নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে যারা লড়তে চান, তাদের সঙ্গে লড়তে চান?’
আগামী লোকসভা ভোটে মোদি-বিরোধী লড়াইয়ে মুখ কে হবেন? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। কিন্তু বাঘেল জানিয়ে দিলেন যে, ‘ভোটের পর সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত হবে।‘ বাঘেল জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী হতে চাইছেন, খুব ভালো কথা। কিন্তু প্রধান শাসকের সঙ্গে না কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন?
এদিকে, মুম্বই সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এনসিপি নেতা সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন। কংগ্রেসের কোন বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। সেখানেই ইউপিএর অস্তিত্ব নিয়ে প্ৰশ্ন তোলেন মমতা। কিন্তু তাঁকে সমর্থন করে এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলকেই এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। মমতার সফর শেষে শিবসেনার দলীয় মুখপত্র সামনায় খোঁচা দিয়ে সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ইউপিএ-র সমান্তরাল কংগ্রেস বিরোধী জোটকে বিজেপি ও ফ্যাসিস্ট শক্তিকে মজবুত করা সমান।
নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, যাঁরা কংগ্রেসহীন ইউপিএ চাইছেন, তাঁরা নিজেদের অবস্থান জনসমক্ষে স্পষ্ট করুক। মুখপত্রে লেখা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বই সফরের পর বিরোধী দলগুলি ময়দানে নেমে পড়েছে। বিজেপির শক্তিশালী বিকল্প তৈরির উদ্যম দেখা যাচ্ছে।
আরও বলা হয়েছে, সর্বসম্মতি না থাকলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বলা উচিত না। নেতৃত্ব বড়ো কথা নয়, একসূত্রে আসার একটা সিদ্ধান্তে সহমত হতে হবে। এটা সবার বোঝা উচিত যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির একটাই লক্ষ্য ছিল কংগ্রেসকে হারানো। কিন্তু মোদি এবং বিজেপি বিরোধী হয়েও কংগ্রেসের ক্ষতি চাওয়া উদ্বেগের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন