গোটা দেশে বিজেপির নিরঙ্কুশ দাপট রুখতে যে বিরোধী জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে, তা ভাঙতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসলে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূলকে। আর সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিজেপিকে ছেড়ে কংগ্রেসকে বেশি আক্রমণ করছেন। এভাবেই তৃণমূলকে নিশান করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের দুর্নীতি তদন্তে নেমেছে সিবিআই, ইডি। তাই নিজেদের বাঁচাতে বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত করছে ঘাসফুল। তৃণমূলকে তিনি মনে করিয়ে দিতে চান, গত লোকসভা ভোটে ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসে। অন্যদিকে, কংগ্রেস ২০ ও তৃণমূল ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। বিজেপি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে জোট ভাঙার কাজে নামিয়েছে। ত্রিপুরা ও গোয়া যাত্রাও এই উপলক্ষেই।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে লাগাতার কংগ্রেসকে আক্রমণ করা হচ্ছে। তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'য় তৃণমূল নিজেকেই কংগ্রেস বলে দাবি করেছে। কংগ্রেসকে 'পচা ডোবা' বলে অভিহিত করা হয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একযোগে কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন। যেখানে সর্বভারতীয় বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে সোনিয়া গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসঙ্গে কাজ করতে চলেছেন, সেখানে কী করে এভাবে কংগ্রেসের বিরোধিতা করে হচ্ছে, তা কেউই বুঝতে পারছেন না বললে অভিযোগ করেছিলেন অধীর।
শনিবারও রাজ্যের উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, 'কংগ্রেস ৭ বছর ধরে বিজেপির কাছে হারছে। আর তৃণমূল সাত বছর ধরে বিজেপিকে হারাচ্ছে।' তাই বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলই প্রধান প্রতিপক্ষ। তাঁর কথায়, 'কংগ্রেস, সিপিএমকে একটা ভোটও দেওয়ার অর্থ বিজেপির হাত শক্ত করা। কংগ্রেস, সিপিএমের কোনও নীতি নেই।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন