মধ্যপ্রদেশ থেকে উত্তরপ্রদেশ - পরপর চলছে দলিত নিগ্রহ, জোর করে পা চাটানোর ভিডিও ভাইরাল

নির্যাতিত ব্যক্তির পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ পেতেই অভিযুক্ত ব্যক্তির নামে ভারতীয় সংবিধানের অপহরণ ও মারধরের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে দলিত যুবককে নিগ্রহ
উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে দলিত যুবককে নিগ্রহ
Published on

ফের সংবাদের শিরোনামে মধ্যপ্রদেশ। আদিবাসী ব্যক্তির মুখে প্রস্রাবকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও একটি ভাইরাল ভিডিওর মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের শীর্ষে মধ্যপ্রদেশ। শুক্রবার সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত গাড়ির মধ্যে এক ব্যক্তিকে প্রথমে হাত দিয়ে ও পরে জুতো দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে, সঙ্গে অকথ্য গালিগালাজ। এরপর নির্যাতিত ব্যক্তিকে জোর করে ‘গলু গুর্জর বাপ হ্যায়’ বলানো হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, সবশেষে ওই ব্যক্তিকে অপরব্যক্তির পা চাটতেও বাধ্য করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের পুলিশ।

মধ্যপ্রদেশ পুলিশের এক আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ও নির্যাতিত দুজনেই গোয়ালিয়র জেলার ডেবরা শহরের বাসিন্দা। ডেবরার এসডিওপি বিবেক কুমার শর্মা জানিয়েছেন, “শুক্রবার সন্ধ্যে নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে চলন্ত গাড়ির মধ্যে এক ব্যক্তিকে মারধর করতে  দেখা গিয়েছে। ভিডিওটিকে দ্রুত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিত ব্যক্তির পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ পেতেই অভিযুক্ত ব্যক্তির নামে ভারতীয় সংবিধানের অপহরণ ও মারধরের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রেও এক দলিত যুবককে দিয়ে জোর করে চটি চাটানোর ঘটনা প্রকাশ্যে এল। নিগৃহীত যুবক শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বিদ্যুৎ সারানোর কাজ করতে এসেছিলেন। সেখানে দলিত যুবক রাজেন্দ্র চামারকে নিগ্রহ করেন তিনি।

মাত্র কয়েকদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দোকানের সামনে বসে থাকা এক আদিবাসী ব্যক্তির মুখে একজনকে প্রস্রাব করতে দেখা যায়। কালক্রমে অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন স্থানীয় বিজেপি নেতা বলে জানা যায়। এই ঘটনার নিন্দায় গোটা দেশ একজোটে সরব হয়। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান সিং ওই আদিবাসী ব্যক্তিকে নিজের বাসভবনে ডেকে এনে নিজের হাতে তাঁর পা ধুইয়ে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ওই আদিবাসী।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in