পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রবিবার একজনকে গ্রেফতার করল গুজরাটের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ সাকলাইন। তিনি গুজরাটের জামনগরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সাকলাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ভারতীয় নম্বর ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে পাকিস্তানের একটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন।
জানা গেছে, ওই গোপন নম্বরটি জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। এবং সেই সব তথ্য পাকিস্তানের একটি দলের কাছে পাঠানো হচ্ছিল।
এর আগে, ২০২৩ সালে গুজরাট এটিএস ৫৩ বছর বয়সী লাভশঙ্কর মহেশ্বরীকে গুজরাটের তারাপুর থেকে গ্রেফতার করেছিল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে। এটিএস সূত্রের খবর, লাভশঙ্কর মহেশ্বরী ছিলেন পাকিস্তানের বাসিন্দা। গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ভারতে আসেন তিনি। এরপর কোনোভাবে ভারতের নাগরিকত্ব নেন।
লাভশঙ্কর মহেশ্বরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি ২০২৩ সালের স্বাধীনতা দিবসের আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হোয়াটসঅ্যাপে স্পাইওয়্যার পাঠিয়েছিলেন। ঘটনাটি গতবছর জুলাই মাসে সামনে আসে। জানা গেছে, লাভশঙ্করকে সিম কার্ড সরবরাহ করেছিলেন মহম্মদ সাকলাইন।
সূত্রের খবর, লাভশঙ্কর মহেশ্বরী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলেন মহম্মদ সাকলাইন। যদিও এটিএসের ধারণা, এই ঘটনায় সাকলাইন ও মহেশ্বরী প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত নয়। বরং এর মাঝে মিডলম্যান হিসাবে আছেন আরও অনেকেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন