Manipur Violence: অশান্ত মণিপুরে ‘দেখা মাত্রই গুলির’ নির্দেশ, উদ্বিগ্ন বিরোধীরা

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ লিখেছেন, 'বিজেপি সরকার গঠনের ১৫ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে মণিপুর। তারপরেও, কর্ণাটকে ভোট প্রচারে ব্যস্ত রয়েছে শাহ এবং মোদী।'
অশান্ত মণিপুর
অশান্ত মণিপুর ছবি সৌজন্যে ইস্ট মজো টুইটার হ্যান্ডেল
Published on

হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে দেখা মাত্র গুলি (shoot-at-sight) করার নির্দেশ জারি করলো রাজ্য সরকার। রাজ্যপালও এই সরকারি আদেশের সম্মতি দিয়েছেন।

মণিপুর হাই কোর্টের একটি রায়কে কেন্দ্র করে আগুন জ্বলছে রাজ্যে। সেনা নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হয়নি। এরই মধ্যে দেখা মাত্র গুলি চালানার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। অশান্তির আশঙ্কায় ৯ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়েছে সেনা। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রায় ৫,০০০ লোককে চুরাচাঁদপুরে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ২,০০০ মানুষকে ইম্ফল উপত্যকায় এবং ২,০০০ মানুষকে তেনুগোপাল জেলার সীমান্ত শহর মোরেতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে ৫৫ কলাম সেনাবাহিনী। তারপরেও, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানী ইম্ফলে এসেছে পাঁচ কোম্পানি (৫০০ জন) র‍্যাফ। সেই বাহিনীও বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বাধীন শাসক জোটের সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। টুইটারে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ লিখেছেন, 'বিজেপি সরকার গঠনের ১৫ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে মণিপুর। তারপরেও, কর্ণাটকে ভোট প্রচারে ব্যস্ত রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (অমিত) শাহ এবং ক্রন্দনরত প্রধানমন্ত্রী মোদী (CryPM Modi)।'

সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইটারে তিনি লিখেছেন, 'এটা রাজনীতি করার সময় নয়। রাজনীতি এবং নির্বাচন অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু আমাদের প্রথম দায়িত্ব মণিপুরের মতন একটি সুন্দর রাজ্যকে আগে রক্ষা করা।'

সম্প্রতি, তফশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দাবি জানায় মণিপুরের মেইটি সম্প্রদায়। এর বিরোধিতা করে আদিবাসীদের ছাত্র সংগঠন - All Tribal Students’ Union, Manipur (ATSUM)। গত বুধবার রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ATSUM। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই প্রথমে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর জেলায়। কয়েক ঘন্টার মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জেলায়। সূত্রের খবর, এই সংঘর্ষে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে, মণিপুর সরকার এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি ও আহত মানুষের সংখ্যা প্রকাশ করেনি।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in