হিংসাবিদ্ধস্ত মণিপুরে এবার শুরু হল রাজনৈতিক অস্থিরতা। রাজ্যের সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এন বীরেন সিং-এর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ব্যর্থ অভিযোগ তুলে এবার সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। দলের নেতা কনরাড সাংমা সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে জানিয়েছেন এই সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ’। যদিও এনপিপি-র সমর্থন প্রত্যাহারে আপাতত এন বীরেন সিং সরকারের কোনও সমস্যা নেই।
এনপিপি-র সমর্থন প্রত্যাহারের কথা বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন দলের প্রধান এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা। ওই চিঠিতে তিনি লেখেন, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ রাজ্যের এন বীরেন সিং সরকার। গত কয়েকদিনের ঘটনায় আমরা দেখেছি পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে, যেখানে বহু নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং রাজ্যের মানুষকে অসহনীয় অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে।
মণিপুরের সরকার থেকে এনপিপি-র সমর্থন প্রত্যাহারের ঘটনায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আপাতত কোনও আশঙ্কার কারণ দেখছেন না। কারণ ৬০ সদস্য বিশিষ্ট মণিপুর বিধানসভায় বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাদের বিধায়ক সংখ্যা ৩২। যদিও এর মধ্যে কুকি-জো গোষ্ঠীর ১০ বিধায়ক সরকারের সঙ্গে দূরত্ব রক্ষা করে চলছেন এবং যাদের মধ্যে ৭ জন বিজেপি বিধায়ক। এঁরা সরকারের সমালোচনা করে বিবৃতি দিলেও এখনও পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি।
অন্যদিকে মণিপুরে এনডিএ-তে বিজেপি, এনপিপি ছাড়াও আছে জেডিইউ এবং এনপিএফ। যার মধ্যে জেডিইউ-র বিধায়ক সংখ্যা ৬ এবং এনপিএফ-এর বিধায়ক সংখ্যা ৫। ফলে এনপিপি-র ৭ বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করলেও এখনও পর্যন্ত এনডিএ শিবিরের বিধায়কসংখ্যা ৪৩। বিক্ষুব্ধ ১০ জনকে বাদ দিলেও তা ৩৩ হবে। ফলে আপাতত এন বীরেন সিং সরকারের সামনে কোনও সংকট নেই।
রবিবারেই মণিপুর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যদি মনে হয় তাদের বিধায়করা পদত্যাগ করলেই মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবে তাহলে তাদের ৫ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন