মণিপুরে ভয়াবহ ধসে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ান সহ একাধিক জন। এখনও মাটির নীচে চাপা পড়ে আছে অনেকে। আর এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে 'রাজ্যের ইতিহাসে সবথেকে খারাপ ঘটনা' বলে ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।
মণিপুরের ননী এলাকায় ভয়াবহ ধস নেমে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি অনেকের। এর মধ্যে সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থায় মুখ্যমন্ত্রী বীরেন নিজের বক্তব্য জানান। তিনি বলেন, ননীর ধস রাজ্যের ইতিহাসে সবথেকে বাজে ঘটনা। আমরা ৮১ জনকে হারিয়ে ফেলেছি। যার মধ্যে ১৮ জন সেনা রয়েছেন। এখনও ৫৫ জনের কাছাকাছি ঐ ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন। মাটির অবস্থা ভালো নেই। ২-৩ দিন সময় লাগবে সমস্ত মৃত দেহগুলিকে উদ্ধার করতে।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্র সবরকম সাহায্য করছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে এনডিআরএফ ও সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। যাতে দ্রুত উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়। মাটি নরম থাকায় যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দলও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে শনিবার ভোরের দিকে ফের একবার ধস নামে ননী এলাকায়।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার জানিয়েছিলেন , “মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-এর সাথে কথা হয়েছে। পাশাপাশি ভয়াবহ ধসের ঘটনাটি পর্যালোচনাও করছি। কেন্দ্রের তরফ থেকে সবরকমের সাহায্য করা হবে। সকলে যাতে নিরাপদে থাকেন তার প্রার্থনা করি। শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক এটাই চাই”।
প্রসঙ্গত, মণিপুরের ননী জেলায় শুক্রবার ধস নামে। টুপুল রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানেই আছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মির ক্যাম্প। ধস নামার কারণে ঐ ক্যাম্পটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উল্লেখ্য ধসের ফলে ক্যাম্পে কর্মরত দার্জিলিঙের ৯ জন সেনাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। সূত্রের খবর বসিরহাট থেকেও একজন সেনা কর্মরত ছিলেন ঐখানে। কিন্তু তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পরিবার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন