মণিপুরে এন বীরেন সিং সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিল ‘কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স’ বা কেপিএ। রবিবার কেপিএ-র তরফ থেকে রাজ্যপাল অনসূয়া উইকেকে চিঠি লিখে একথা জানানো হয়েছে। মণিপুরে চলমান হিংসাত্মক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন দলের সভাপতি টংমাং হাওকিপ।
এই কেপিএ কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন এনডিএ-র শরিক। ২০২২ সালে এই দলটি গঠিত হয়। ওই বছরই রাজ্যে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দুটি নির্বাচনী কেন্দ্র - সাইকুল ও সিঙ্গাত থেকে জয়ী হয় দলটি। এরপর তাঁরা বিজেপি সরকারকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে কেপিএ-র এই সমর্থন প্রত্যাহারে কোনও সমস্যায় পড়বে না মণিপুরের বিজেপি সরকার। মণিপুর বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ৬০। এর মধ্যে বিজেপির দখলে আছে ৩২টি আসন। এছাড়াও নাগা পিপলস ফ্রন্টের পাঁচ জন এবং তিন নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বিজেপির হাতে।
অন্যদিকে, বিরোধীদের শিবিরে রয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ৭ জন, কংগ্রেসের ৫ এবং জেডিইউ-র ৬ বিধায়ক। তবে এত দিন মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের ক্ষোভ সামলাতে হচ্ছিল বিজেপিকে। এ বার শরিক দল সরে দাঁড়ানোয় গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে শনিবার ভোর থেকে নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে মণিপুরের বিষ্ণুপুর-চুড়াচাঁদপুর সীমানা এলাকায়। সন্দেহভাজন জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে এলাকায়। গত ২৪ ঘণ্টায় ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সম্পর্কে বাবা-ছেলেও রয়েছে। এর জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়ী করেছেন রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-এর জামাই রাজকুমার ইমো সিং। তিনি বলেন, "আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (অমিত শাহ) নিয়মিত চিঠি লিখছি যে, নির্দিষ্ট কয়েকটি নিরাপত্তা বাহিনী জনগণ এবং রাজ্যের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করছে। কারা জঙ্গিদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সহিংসতা বন্ধ করতে কেন্দ্রকে অবশ্যই অবিলম্বে কিছু কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে সহিংসতা চলছে। মণিপুরে শান্তি ফেরানো প্রয়োজন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন