মণিপুর বিতর্ক নতুন করে আরও এক দানা বাঁধলো। সোমবার এক বিবৃতিতে মণিপুরের দশজন কুকি বিধায়ক দাবি করেছেন, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে ‘মিথ্যে’ বলেছেন। তাঁদের মতে মণিপুরে কুকি ও মেইতিদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গার প্রধান মাথা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই বিধায়কদলের মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়কও আছেন।
কুকি বিধায়কদের বিবৃতি অনুসারে, সলিসিটর জেনারেল মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কুকি বিধায়কদের সাথে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেছেন বলে যে দাবি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত স্থগিত করার জন্য এই মিথ্যে বলা হয়েছিল।
কুকি বিধায়কদের ওই বিবৃতিতে খুব স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, আমরা স্পষ্ট করছি যে ৩ মে ২০২৩ থেকে আমরা মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এন বীরেন সিং-এর সঙ্গে কখনও কোনও বৈঠক করিনি এবং আগামী দিনেও তাঁর সঙ্গে দেখা করার কোনও ইচ্ছা নেই। কারণ ইম্ফল থেকে আমাদের জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে নির্মূল করার জন্য তিনি এই হিংসার মূল পরিকল্পনাকারী। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, এই হিংসা আজও অব্যাহত এবং গত ৭ নভেম্বর শ্রীমতী জোসামকিং হামরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে কুকি বিধায়করা এই হত্যার নিন্দা করে জানিয়েছেন, জিব্রাম জেলায় নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতি সত্ত্বেও মেইতি উগ্রপন্থীদের হাতে শ্রীমতী জোসামকিং-এর হত্যা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত না হয়ে যেভাবে শীর্ষ আদালতের সামনে সলিসিটার জেনারেল তাঁর বক্তব্য পেশ করেছেন তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
গত ৮ নভেম্বর এই মামলা শীর্ষ আদালতে ওঠে। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুসারে, কুকি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান ট্রাস্ট নামের এক সংগঠনের করা আবেদনের ভিত্তিতে ওই শুনানি হয়। ওই আবেদনে এক অডিও টেপ ঘিরে ওঠা বিতর্কে আদালতের তত্বাবধানে তদন্তের দাবি জানানো হয়। ওই অডিও টেপে মুখ্যমন্ত্রীকে কীভাবে এবং কেন এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে তা বলতে শোনা গেছিল। যদিও মণিপুর পুলিশ প্রথমেই এই অডিও ক্লিপ জাল বলে জানিয়ে দেয়। শুনানি চলাকালীন, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান, মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কুকি-জো বিধায়কদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বৈঠক করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন