মণিপুরে (Manipur) হিংসায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের। আহত হয়েছেন ২৩১ জন। গত এক সপ্তাহজুড়ে চলমান হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধর্মীয় স্থান সহ ১৭০০ বাড়ি। সোমবার এই কথা জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং (N Biren Singh)।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং বলেন, ‘হিংসায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা, যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের ২ লক্ষ টাকা এবং সামান্য আহতদের ২৫,০০০ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।’
মুখ্যমন্ত্রী সিং বলেন, ‘এগুলি খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমি জনগণকে অনুরোধ করছি।’ তিনি আরও জানান, ‘সহিংসতার সময় মন্দির ও গির্জাসহ ১,৭০০ বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
একইসঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘যাদের বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাঁদেরকে বাড়ি পুনর্নির্মাণের জন্য ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘মণিপুরের বিভিন্ন প্রান্তে যাঁরা ঘরছাড়া হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন, তাঁদের সব রকম সাহায্য করছে সরকার। তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে। আটকা পড়ে রয়েছেন আরও ১০ হাজার মানুষ। যত দ্রুত সম্ভব তাঁদেরকেও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। মানুষের জীবন অমূল্য এবং তাঁদের ঘরবাড়ি-সম্পত্তি ধ্বংস কখনই মেনে নেওয়া যায় না।’
এই পরিস্থিতি জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, যে সরকারি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পরিস্থিতি সামলাতে এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদেরও কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে রাজ্যবাসীর কাছে ভুয়ো খবর, গুজব না ছড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন বীরেন।
তিনি জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের কাছ থেকে ১০১৪ টি বন্দুক লুট হয়েছে। তবে, অভিযান ও তল্লাশি চালিয়ে ২১৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
একইসঙ্গে, মণিপুরে হিংসা কবলিত জেলাগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত সাসপেন্ড থাকবে বলেও জানিয়েছে মণিপুর সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন