আবগারি দুর্নীতি মামলায়, সোমবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই (The Central Bureau of Investigation)। আর এই ইস্যুতে বিজেপি (BJP)-র বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে আম আদমি পার্টি বা AAP।
সোমবার, টুইটারে মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia) দাবি করেন, ‘আগামী দিনে নির্বাচনী প্রচারে আমার গুজরাটে যাওয়ার কথা ছিল। তাদের উদ্দেশ্য আমাকে গুজরাট যেতে বাধা দেওয়া।‘ এরপরেই তিনি লেখেন, ‘গুজরাট হারাচ্ছে বিজেপি, এটি জেনে তাঁরা (পড়ুন মোদী-অমিত শাহরা) ভীত হয়ে পড়েছেন।‘
গত কালই, সিবিআই তলব নিয়ে মুখ খোলেন মণীশ সিসোদিয়া। হিন্দিতে লেখা টুইটে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘সিবিআই আমার বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু কিছুই খুঁজে পায়নি। ব্যাঙ্কের লকার এবং গ্রামের বাড়ি তল্লাশি চালিয়েও কিছু পায়নি। খালি হাতেই ফিরেছে তাঁরা। এবার আমার বক্তব্য রেকর্ড করতে সিবিআই সদর দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।‘
একই অভিযোগ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। টুইটারে তিনি বলেন,’সিসোদিয়ার বাড়ি থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। তার লকার থেকেও কিছু পাওয়া যায়নি। এই মামলাটি সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা মামলা। সিসোদিয়াকে দলের প্রচারে গুজরাট যেতে হয়েছিল। তারা তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়, যাতে তিনি গুজরাট যেতে না পারেন।‘
একইসঙ্গে কেজরিওয়াল জানান,’ কিন্তু আমাদের প্রচার থেমে থাকবে না। সব গুজরাটি আমাদের সঙ্গে আছে।‘
চলতি বছরের জুলাইয়ে, দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধ আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ এনে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা। তাঁর সেই আবেদনের পরই তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
এফআইআর (FIR)-এ সিসোদিয়াকে এক নম্বর অভিযুক্ত হিসাবে রেখেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪৭৭-এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দিল্লির মদ ব্যবসায়ীদের ৩০ কোটি টাকা ছাড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া, লাইসেন্সধারীদের নিজেদের ইচ্ছামতো মেয়াদ বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। মামলায় দাবি করা হয়েছে, আবগারি বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এদিকে জানা যাচ্ছে, সিসোদিয়ার বাড়ির বাইরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। সোমবার, AAP কর্মীদের বিক্ষোভের ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বিজয় নায়ার এবং দক্ষিণ ভারতের মদ বিক্রেতা অভিষেক বোইনপলিকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
এছাড়াও এই মামলায় দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্যবসায়ী সমীর মহেন্দ্র, অমিত অরোরা এবং মুথ গৌতম সহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন