ম্যানহোলে নেমে বা বর্জ্য পরিষ্কার করতে গিয়ে ঘন ঘন মৃত্যু হচ্ছে সাফাই কর্মীদের। আর, তা রোখার দাবিতে ঝাড়খণ্ডের আন্দোলনে নেমেছেন সাফাই কর্মীরা। প্রায় ১৫০ দিন ধরে তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন ‘'স্টপ কিলিং আস' (Stop Killing Us) প্রচারাভিযান কর্মসূচি।
ঝাড়খন্ডের রাজধানী রাঁচিসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে শ্লোগান, ‘আমাদের হত্যা বন্ধ করুন।’ প্রতিদিনই প্রচারে অংশ নিচ্ছেন সাফাই কর্মীরা। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে তাঁদের প্রচারাভিযান ‘দ্বিতীয় পর্যায়ে’ রয়েছে। একবার নয়, এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের বক্তব্য ছড়িয়ে দিতে চলেছেন।
সাফাই কর্মচারী আন্দোলন বা SKA-র ন্যাশনাল কনভেনর বেজওয়াদা উইলসন (Bezwada Wilson)-র টুইটার হ্যান্ডেল এবং আন্দোলনের ফেসবুক পেজ থেকে আন্দোলনের প্রতিদিনকার চিত্র ফুটে উঠছে।
সাফাই কর্মচারী আন্দোলনের কর্মীরা বুঝতে পেরেছেন যে, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার বা তাদের পঞ্চায়েত বা জেলা অফিসের কেউই তাদের বাঁচাতে আসবে না। আর শুধু সরকারই নয়, বেসরকারী সংস্থাগুলোও তাদের জীবনের কথা ভাবছে বলে মনে হয় না।
অতএব, তাদের নিজেদের এবং তাদের সহকর্মীদের বাঁচাতে হবে। তাই, বিভিন্ন রাজ্যে স্যানিটেশন কর্মীদের জীবন বাঁচানোর অঙ্গীকার নিয়ে এই অভিযান এখন থেমে না গিয়ে আরও এগিয়ে চলেছে।
গত মঙ্গলবার, ঝাড়খণ্ডের গুমলায় প্রচারের ১৫০ দিন পূর্ণ হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য আহ্বায়ক ধরমদাস বাল্মীকি (Dharamdas Valmiki) বলেন, এই অভিযানের লক্ষ্য হল যতটা সম্ভব স্যানিটেশন কর্মীকে নর্দমা এবং সেপটিক ট্যাঙ্কে বা ম্যানহোলে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু থেকে বাঁচানো। তিনি বলেন, ‘এটা বেদনাদায়ক যে, আমরা নিজেরাই আমাদের মারা যাওয়া দেখছি।’
এই প্রচারাভিযান শুধুমাত্র সাফাই কর্মীদের বিপজ্জনক অবস্থা বা মৃত্যুর কথা তুলে ধরছে না। একইসঙ্গে তাঁরা দেশের সকল জনগণকে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিস্কার রাখার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলছেন।
প্রচারের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরা। তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব মনে করিয়ে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আর যাতে কোনও সাফাই কর্মী মারা না যান, সে জন্য ঠিকাদার এবং পৌরসভাকে বাধ্যতামূলকভাবে নর্দমা পরিষ্কারের মেশিন ব্যবহার করার আহ্বান করছেন আন্দোলনকারীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন