মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অনেকেই আমার বিরুদ্ধে চলে গেছেন। নাম না করে জোটসঙ্গী বিজেপিকে আক্রমণ করে একথা বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।
ক্ষমতায় এসেই রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন নীতিশ কুমার। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যুর খবর প্রায়ই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। গত সপ্তাহেই বিষাক্ত মদ খেয়ে প্রায় ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। এই নিয়ে বিরোধী এমনকি জোটসঙ্গী বিজেপির লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়ে আজ সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার একদিন আগে মিডিয়ার সামনে নীতিশ কুমার বলেন কিছু লোক এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে খুশি নন।
তিনি বলেন, "কারো ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা জনগণের কথা শুনেছি, বিশেষ করে মহিলাদের। অনেক পুরুষের কথাও শুনেছি। বেশিরভাগ মানুষই মদের বিরুদ্ধে। আমরা বাপুর (মহাত্মা গান্ধী) নীতি অনুসরণ করি। তিনি যা বলেছিলেন, আমরা তা বাস্তবায়ন করেছি।"
সমস্ত দলের অনুমোদন নিয়েই মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল বলে দাবি করেন নীতিশ কুমার। তাঁর প্রশ্ন, "তারা কি ভুলে গেছে যে এটি সবার অনুমোদন নিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছিল? শাসক বা বিরোধী দল - কোনো দল কি তখন এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছিল?"
বিষ মদ খেয়ে মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মদ খাওয়ার খারাপ দিকগুলো আরও বেশি করে প্রচার করতে হবে আমাদের। ২০১৮ সাল থেকে জনগণের মধ্যে আমরা সচেতনতা ছড়ানোর চেষ্টা করছি যে মদ খেলেই আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন এবং মারা যাবেন। আমাদের আরো বেশি বেশি করে প্রচার করতে হবে এটা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রায়ই বিষ মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় বিরোধীদের পাশাপাশি নীতিশ কুমারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জোটসঙ্গী বিজেপিও। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়ালের কথায়, নিষেধাজ্ঞা জারির পরই রাজ্যে মদ মাফিয়াদের উত্থান বেড়ে গেছে এবং বিষাক্ত মদে ছেয়ে গেছে বাজার। নীতি পর্যালোচনার দাবি তুলেছেন তিনি। মদ বিক্রি রুখতে প্রশাসনের সদর্থক ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এরপরই এই মন্তব্য করেছেন নীতিশ কুমার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন