কেরালার কোঝিকোড জেলার থামরাসেরির বেশ কয়েকটি অংশে মাওবাদীদের হাতে লেখা পোস্টার দেখা গেছে। পোস্টারে উচ্চগতি সম্পন্ন কে-রেল প্রকল্পের বিরোধিতা করা হয়েছে। এবং প্রকল্পের জন্য সরাসরি কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নকে দায়ী করা হয়েছে।
পোস্টারে বলা হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী সিলভারলাইন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এবং তাই বিরোধিতা করতে হবে। সিপিআই(এম) সরকার কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করছে। কোজিকোডের গ্রামীণ পুলিশ সুপার, ডঃ শ্রীনিবাস বলেছেন, পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং পোস্টারগুলির বিষয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
মাওবাদী বিরোধী পুলিশ স্কোয়াড, “থান্ডারবোল্ট” ইতিমধ্যেই পোস্টারের পিছনে যারা রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করার জন্য তারা পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছে। A-4 আকারের কাগজে লেখা হাতে লেখা পোস্টারগুলি থামারাসেরির বিভিন্ন অংশে দেখা গেছে। কোঝিকোড়ের সীমান্ত এবং কেরালার ওয়ানাদ জেলার কাছাকাছি মাওবাদী গোষ্ঠীর সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
মাওবাদীরা পোস্টারে হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, রাজ্য সরকার প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে গেলে পরিণতি ভালো হবে না। ‘কে-রেল’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে কেরালা কংগ্রেস এবং বিজেপিও আন্দোলনে নেমেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সাহসী ভঙ্গিতেই এই প্রকল্প এফিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী। তাঁর কথায়, এই প্রকল্প কেরলের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবেই করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কেরালার বাম সরকার দক্ষিণের তিরুঅনন্তপুরম থেকে উত্তরের কাসারগোড় পর্যন্ত ৫২৯.৪৫ কিলোমিটার দ্রুতগামী রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চাইছে। প্রকল্পের দায়িত্বে আছে রেল ও রাজ্য সরকার মিলে গঠিত যৌথ সংস্থা ‘কেরালা রেল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড’ (কে-রেল)। খরচ প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা। অর্থনীতি ও পরিবেশে প্রভাব পড়ার কারণ দেখিয়ে প্রকল্পের বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। বিজেপিও সুর চড়িয়েছে। এবার তালিকায় যুক্ত হল মাওবাদীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন