মহিলাদের স্বার্থে আনা কেন্দ্রীয় বিল খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত কমিটিতে আছেন মাত্র একজন মহিলা সদস্য! বাকি ৩০ জনই পুরুষ সদস্য। এই কমিটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে চিঠি লিখলেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী।
মহিলাদের বিয়ের আইনি বয়স ১৮ থেকে ২১ করার বিল খতিয়ে দেখার কমিটি নিয়ে চিঠিতে চতুর্বেদী জানিয়েছেন, ৩১ জন সাংসদ নিয়ে গঠিত কমিটি মহিলাদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিল নিয়ে আলোচনা করছে। অথচ এই কমিটিতে মাত্র একজন মহিলা সদস্য আছেন। উল্লেখ্য, এই কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব।
চিঠিতে শিবসেনা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা বেঙ্কাইয়া উপরাষ্ট্রপতি নায়ডুকে লিখেছেন, ‘আমি একজন সাংসদ হিসাবে এই চিঠিটি লিখছি আপনাকে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে, বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা (সংশোধন) বিল উত্থাপন করা হয়েছিল। এই বিলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিলটি দেশের মহিলাদের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারবে। মহিলাদের জন্য বিয়ের বৈধ বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা হবে। লোকসভায় উত্থাপনের পর এই বিলটি শিক্ষা, মহিলা, শিশু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে। অথচ কমিটিতে সংসদ সদস্য হিসাবে আছেন মাত্র একজন মহিলা।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে আরও জানান, মহিলাদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানোর মতো বিষয় খতিয়ে দেখতে গঠিত কমিটিতে ৩১ জনের মধ্যে মাত্র একজন মহিলা সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি অত্যন্ত হতাশাজনক। এরকম প্রাসঙ্গিক বিলে মাত্র একজন মহিলার প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি বেমানানও বটে। এই কমিটিতে যাতে আরও বেশি সংখ্যক মহিলা সাংসদের অন্তর্ভুক্তি বা প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করা যায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তিনি উপরাষ্ট্রপতির কাছে কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন