মমতা ব্যানার্জীর মেঘালয় সফরের মাঝেই ধাক্কা তৃণমূলে। বিজেপিতে যোগ দিলেন এক তৃণমূল বিধায়ক সহ মোট ৪ জন বিধায়ক। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে তাঁরা সকলে পদ্ম শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন।
বছর ঘুরলেই মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ঘর গোছাতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। এই মুহূর্তে মেঘালয় সফরে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি এবং দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। রাজ্যে পৌঁছেই তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, প্রধান বিরোধী দল নয়, সরকার গঠনই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু সেই লক্ষ্যপূরণ যে সহজ হবে না, তৃণমূল বিধায়কের বিজেপিতে যোগদানই তা বুঝিয়ে দিল।
যোগদান অনুষ্ঠানে নাড্ডার সাথে উপস্থিত ছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। যোগদানের ছবি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করে তিনি লেখেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মেঘালয়ের চারজন সম্মানীয় বিধায়ক – শ্রী বেনেডিক মারাক (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), শ্রী ফেরলিন সাংমা (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), শ্রী হিমালয় সাংপ্লিয়াং (তৃণমূল) এবং শ্রী স্যামুয়েল সাংমা (নির্দল) বিজেপিতে যোগদান করলেন।
উল্লেখ্য, এই ৪ বিধায়কের মধ্যে নির্দল বিধায়ক ছাড়া বাকি তিন জন নভেম্বরের শেষে মেঘালয়ের বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন অতি শীঘ্রই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)-র ২ বিধায়ক এবং তৃণমূলের ১ বিধায়ক।
হিমালয় সাংপ্লিয়াং পদত্যাগ করে বলেছিলেন, "বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আমরা পদত্যাগ করেছি। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। এখানকার মানুষ, বিশেষ করে কৃষক এবং যুবকদেরও উচিত প্রধানমন্ত্রীকে উন্নয়নের জন্য তাঁর প্রচেষ্টায় সমর্থন করা।"
মেঘালয়ের বিধানসভা আসন ৬০টি। যার মধ্যে মেঘালয় ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স-র আসন সংখ্যা ৪৪টি (এনপিপি-২১, ইউডিপি-৮, পিডিএফ-৪, বিজেপি-৩, এইচএসপিডিপি-২, নির্দল-৬)। বিরোধীদের আসন ১৩টি। যার মধ্যে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ১১টি, এনসিপির ১টি ও কেএইচএনএএম-র ১টি আসন। বাকি ৩টি আসন খালি আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন