বেকারত্ব চরমে। ক্ষোভ জমছে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে। কর্মসংস্থান নিয়ে কোনও সমাধান নেই। তারই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে সংঘর্ষে জাড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। গুরুতর আহত হয়েছেন দুই সাংবাদিক-সহ বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার, এমনই ঘটনা ঘটেছে মেঘালয়ের গুয়াহাটি-শিলং রোডে।
পুলিশ জানিয়েছে, মেঘালয়ে বেকারত্বের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেয় ফেডারেশন অফ খাসি জৈন্তিয়া এবং গারো পিপল (FKJGP)। শিলং-এ র্যালি নামে। এতে যোগ দেন FKJGP শতাধিক সদস্য।
শুধু তাই নয়, শুক্রবারের এই র্যালিতে যোগ দেয় খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (KSU), রি-ভোই ইয়ুথ ফ্রন্ট (RBYF) এবং হাইনিউট্রেপ ন্যাশনাল ইয়ুথ ফ্রন্ট (HNYF)-সহ একাধিক সংগঠনের সদস্যেরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই র্যালি খিন্দইলাদের দিকে যাওয়ার পথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই সাংবাদিকসহ অসংখ্য মানুষ আহত হন। তবে, আহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি পুলিশ।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, প্রথমে এই র্যালিটি সাধারণ সমাবেশের মতো লাগছিল। বিক্ষোভকারীরা রাজ্য সরকারের কাছে মেঘালয়ের যুবকদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার দাবি জানাচ্ছিল। এসময় FKJGP-র কিছু সদস্য মুখোশ পরে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে, পথচারীদের নির্বিচারে ধাক্কা মেরে ধাক্কা মারে। ফলে র্যালিটি সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। গুয়াহাটি-শিলং রোডে বিশাল যানজট তৈরি হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ধানখেতি মোড়ে, সাধারণ মানুষকে পতাকার লাঠি দিয়ে মারধর করেছে বিক্ষভকারীরা। এসময় আতংকের জেরে দোকান বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। জানা যাচ্ছে, মেঘালয়ের উপজাতি নয় (আদিবাসী নয়), এমন মানুষদের উপরই হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রেস্টোন টাইনসং (Prestone Tynsong) বলেছেন, পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন FKJGP সভাপতি ডান্ডি খংসিট (Dundee Khongsit)। তাঁর মতে, কখনই আশা করিনি এমন একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে।তিনি জানান, 'সমাবেশের আগে আমরা সদস্যদের বলেছিলাম, এটি একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে। আমাদের দাবি - সকল সরকারি দপ্তরে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। কারণ, সরকারের বিভিন্ন বিভাগে ৭,০০০-র বেশি পদ শূন্য রয়েছে।'
তিনি অভিযোগ করেন, 'রাজ্যের গুরুতর বেকারত্ব সমস্যার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে না রাজ্য সরকার।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন